সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : আরজি কর-কাণ্ডে তিলোত্তমার সঠিক বিচার ও অপরাধীর শাস্তির দাবিতে রং-তুলিতে প্রতিবাদ জানালেন বনগাঁর শিল্পী থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা ৷ প্রতিবাদী গান থেকে শুরু করে একাধিক লেখালেখি সহ রাজপথে রং-তুলির ছোঁয়ায় ছবি এঁকে নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা৷
আরজি কর-কাণ্ডের কেটে গেছে প্রায় ১৭ দিন। এখনও কোনো রকম সঠিক বিচারের আশ্বাস পাচ্ছেন না কেউই। শুরু থেকেই এখনও আরজি কর নিয়ে দিকে দিকে প্রতিবাদ সভা এবং মিছিলের আয়োজন করা হচ্ছে বনগাঁ সহ গোটা বাংলায়। তার মধ্যেই শনিবার রাত ১১.৫৫ নাগাত বনগাঁর শিল্পী থেকে পুড়ুয়ারা অভিনব প্রতিবাদ করলেন ছবি এঁকে। চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রতিবাদে রং-তুলিতে নিজেদের মনের কথা তুলে ধরলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে রবিবার সকালে কলকাতা শহরের একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআইয়ের টিম। আরজি কর ঘিরে আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের এই তৎপরতা বলে জানা গেছে। সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ সন্দীপ ঘোষের বাড়ির সামনে দেখা যায় সিবিআইয়ের টিমকে। তাঁরা বহুক্ষণ ধরে সেখানে বেল বাজালেও কোনও সাড়া মিলছিল না।
বহুক্ষণ পরে দেখা যায়, বাড়ির ভিতর থেকে কাঠের দরজা খুলে বের হন সন্দীপ ঘোষ। তারপর তিনি গেটের বাইরে দাঁড়ানো সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ততক্ষণে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলতে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে প্রবেশ করে সিবিআই।
উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন সন্দীপ-সহ মোট সাত জন। তাঁরা গোয়েন্দাদের যা বলছেন, তা সত্য কি না, জানার জন্য পলিগ্রাফ পরীক্ষা করতে চেয়েছে সিবিআই।
এই পরীক্ষার ফলাফলে যা মিলবে, তা কিন্তু আদালতে প্রমাণ হিসাবে গ্রাহ্য হবে না। তদন্তের সুবিধার্থে এই পরীক্ষা করানো হয়ে থাকে। এই ধরনের পরীক্ষার জন্য যাঁর পরীক্ষা করানো হচ্ছে, তাঁর সম্মতিও প্রয়োজন।
পলিগ্রাফ পরীক্ষাকে কেউ কেউ ‘লাই ডিটেক্টর’ পরীক্ষাও বলে থাকেন। অর্থাৎ, অভিযুক্ত মিথ্যা বলছেন কি না, এটি তা যাচাইয়ের পরীক্ষা। সাধারণত জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করেই এই পরীক্ষা করা হয়।