ISF কর্মী খুনের মামলায় ভাঙড়ে থেকেই গ্রেফতার TMC নেতা আরাবুল ইসলাম
প্রতিবেদক ঃ গত ১ জানুয়ারি থেকে ভাঙড়ের দায়িত্ব নেয় কলকাতা পুলিশ। তার ঠিক ৩৯ দিনের মাথায় গ্রেফতার হলেন আরাবুল। শুধু খুন নয়, আরাবুলের বিরুদ্ধে এক প্রোমোটারের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
লোকসভা ভোটের আগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। ভাঙড় কলকাতা পুলিশের আওতায় আসার মাসখানেকের মধ্যে ভাঙড় থেকেই গ্রেফতার করা হয় আরাবুলকে। তাঁকে লালবাজারে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে গলে জানা গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে আরাবুলের গ্রেফতারিতে ভাঙড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যেতে পারে বলে মনে করা হয়েছে। আরাবুলের গ্রেফতারি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি তাঁর পরিবার।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশের শেষ দিন গত ১৫ জুন তৃণমূল ISF সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। অভিযোগ মনোনয়ন পেশে বাধা দিতে ISF কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূল কর্মীরা। গুলিবিদ্ধ হন ISF কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা। তবে ISFএর দাবি ছিল অন্তত ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে মৃত্যু হয় মহিউদ্দিনের। মহিউদ্দিনের শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করেন পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। সেই খুনের ঘটনার FIRএ নাম ছিল আরাবুল ইসলামের। ঘটনার ৭ মাস পর সেই ঘটনায় আরাবুলকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ওদিকে ভাঙড়ে আশান্তি থামাতে পঞ্চায়েত ভোটের পরেই ভাঙড়ের ৩টি থানাকে ভেঙে ৮টি থানা করার ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ভাঙড়ের আটটি থানার দায়িত্বে কলকাতা পুলিশ থাকবে বলে জানান তিনি। গত ১ জানুয়ারি থেকে ভাঙড়ের দায়িত্ব নেয় কলকাতা পুলিশ। তার ঠিক ৩৯ দিনের মাথায় গ্রেফতার হলেন আরাবুল। শুধু খুন নয়, আরাবুলের বিরুদ্ধে এক প্রোমোটারের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, টাকা দিতে না চাওয়ায় তার প্রোজেক্টে গিয়ে বোমাবাজি করে আসে।
লোকসভা ভোটের আগে আরাবুলের গ্রেফতারিতে ভাঙড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ আমূল বদলে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে আরাবুলের গ্রেফতারি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি তাঁর পরিবার।