সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : দীর্ঘদিন ধরে পিত্তাশয়ে পাথর নিয়ে চরম যন্ত্রণায় ভুগছিলেন বনগাঁ পেট্রাপোল এর বাসিন্দা প্রিয়া বিশ্বাস, অস্ত্রোপচারের পর পিত্তাশয় থেকে উদ্ধার হয় ২০১১ টি পাথর। আবার অন্যদিকে পায়ে এক বৃহৎ আকারের টিউমার নিয়ে নাজেহাল ছিলেন বাগদার বাসিন্দা কল্পনা রায়। দুই জটিল অস্ত্রোপচার করে নজির গড়লেন চিকিৎসক আত্মদীপ বিশ্বাস। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে।
চিকিৎসক আত্মদীপ বিশ্বাস বনগাঁ শহরের বাসিন্দা হলেও কর্ম সূত্রে থাকেন মধ্যমগ্রামে। সার্বভৌম সমাচারের একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, গত দু-মাসে দুজন মহিলা দুই জটিল রোগ নিয়ে চিকিৎসক এর দ্বারস্থ হন। একজন হলেন বছর তিরিশের প্রিয়া বিশ্বাস, গত কয়েক মাস ধরে অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে যান তিনি। তীব্র পেটে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসক এর কাছে আসেন। পরীক্ষা করাতেই জানা যায় পিত্তাশয়ে বাসা বেঁধেছে পাথর। যার পিত্তাশয় থেকে পাওয়া গেছে প্রায় ২০১১ টি পাথর। অন্যদিকে পঞ্চাশ উর্ধ কল্পনা রায় এর পা'য়ে বাসা বেঁধেছিল প্রায় এক কেজি ওজনের টিউমার। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি হাসপাতালে দেখেলেও বেডের অভাবে হচ্ছিল না অস্ত্রোপচারে। অবশেষে চিকিৎসক আত্মদীপ বিশ্বাস এর দ্বারস্থ হয়ে সুস্থ আছেন দুজনেই।
চিকিৎসকের এমন জটিল সফল অস্ত্রোপচারে রোগীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, 'নার্সিং হোম এবং চিকিৎসক যেভাবে উদ্যোগী হয়ে অপারেশনের বন্দোবস্ত করেছে তাতে আমরা খুশি।'