সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষদের পাশে থেকে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়াকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা কটাক্ষের সম্মুখে পরতে হয় পড়ুয়াদের। সেক্ষেত্রে পাল্টা পড়ুয়াদের দাবী, আপনারাও করুন না! আমাদের দেখে যদি আরো পাঁচটা মানুষ অনুপ্রেরণা পায় সেটাই আমাদের আসল লক্ষ্য।
ঠিক এভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ শহরে চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে প্রিয়, শুভজ্যোতি, জিত, মাথুরেশ, রোহান, পলাশ, রানা, স্নেহা, সোমালি, মোনালিসা, সুদেষ্ণার মতো পড়ুয়ারা। তাঁদের কথায়, "আপনাদের এগিয়ে আসা, আমাদের একমাত্র ভরসা।"
বুধবার সমাজের দুস্থ শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে 'তোমাদের পাশে আমরা', স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রতি বছরের মতো এবছরেও ছোটো ছোটো শিশুদের হাতে নতুন জামা প্যান্ট থেকে শুরু করে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেয় বনগাঁর বিভিন্ন এলাকায়।
সরকারি ভাবে স্বীকৃতি না পেলেও সমান ভাবে কাজ করে চলেছে পড়ুয়াদের একাংশ। এবছর প্রায় ১০০ টি শিশুর হাতে নতুন পোশাক ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন তাঁরা। পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে শুভজ্যোতি জানান, অনেক সময় অনেক মানুষের কটাক্ষের স্বীকার হয় আমরা, কিন্তু আমরা বলি আপনারাও করুন। তাতে আরো কিছু মানুষের হাতে নতুন নতুন পোশাক উঠবে। হাঁসি মুখটা দেখতে পাবেন ওই শিশু গুলির।
এছাড়াও পড়ুয়ারা জানান, অনেক মানুষ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আগামীদিনে চাইবো আমরা সবাই মিলে এই শিশু গুলির মুখে হাঁসি ফোঁটাতে। পড়ুয়াদের এমন কাজে খুশি এলাকার সাধারন মানুষ। তাঁদের এই মহৎ উদ্দেশ্যকে জানাই কুর্নিশ জানায় সার্বভৌম সমাচার।