সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : রেহাই পেল না গণনার দিনেও। বোমাবাজি, মারামারি, হাতাহাতিতে জড়ালো শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী দল। কাউন্টিং সেন্টারের ভেতরেই উত্তেজনায় লাঠিচার্জ পুলিশের। ব্যাপক চাঞ্চল্য বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে।
অভিযোগ, কাউন্টিং সেন্টারে বহিরাগতদের ঢোকাচ্ছে তৃণমূল। আর এই অভিযোগেই তুলকালাম শাসক বিরোধীর মধ্যে। ফলে রণক্ষেত্রের চেহারা গণনা কেন্দ্রে।
প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের ভিড় বনগাঁ কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ছিল কড়া নজরদারের ব্যবস্থা। কলেজ সংলগ্ন এলাকা জুড়ে বেশ কয়েকটি ড্রপ গেট করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি কলেজে ঢোকার মূল গেটে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ভোট যুদ্ধের ফল প্রকাশের দিন যেতার ব্যাপারে আশাবাদী সমস্ত রাজনৈতিক দল।
উল্লেখ্য, ভোট গণনা শুরু হওয়ার আগেই ধুমধুমার পরিস্থিতি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের গণনা কেন্দ্রে। সকাল থেকেই তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছিল বিরোধীদল গুলি। অভিযোগ করছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বহিরাগতদের কে ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ঢোকানো হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় বাহিনী গণনা কেন্দ্রের ভেতর থেকে বের করে দেয়। সে সময় বহিরাগতদের ওপর চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা। বচসায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিরোধী দলের দুই পক্ষ। শুরু হয় তুমুল গন্ডগোল। বাঁশ দিয়ে একে অপরের উপর চড়াও হয়।
বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস গণনায় কারচুপি করবার জন্য বহিরাগতদেরকে ভেতরে ঢুকিয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি এই ঘটনায় তাদের দুই কর্মীর মাথা ফেটে গেছে। আহত দুই তৃণমূল কর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, বনগাঁ কলেজের কাউন্টিং সেন্টারের বাইরে ব্যপক বোমাবাজি হয়। এদিন কাউন্টিং চলাকালীন কলেজের পেছন দিকে এনসিসি অফিসের কাছে পর পর বোমা পরতে শুরু করে। ঘটনায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে ভোটকর্মীদের ভেতরে।