প্রতিনিধি, বনগাঁ : একই রাতে পরপর দুটি মন্দিরের চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো বনগাঁ থানার অন্তর্গত দেবগড় এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পরে আতঙ্কে ভুগছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। সোমবার মধ্যরাতে ওইদুটি মন্দিরেই চুরি হয়েছে, এমনটাই অনুমান করছেন এলাকার মানুষ।
এ বিষয়ে দেবগড় এলাকার বাসিন্দা ভক্ত বৈরাগী বলেন, আমাদের বাড়ির বহু পুরনো এই হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দির। মন্দিরটি আমাদের বাড়ির হলেও এলাকার সকল মানুষ আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে।আমরা বাড়ির মন্দির বলার আগে বলি এই মন্দিরটি সর্বসাধারণের। আজ সকালেই আমরা হঠাৎই দেখতে পাই মন্দিরের বারান্দায় একটি মোটা পেয়ারা গাছের কাঠ পড়ে আছে।
তারপরেই আমরা দেখি মন্দিরের একটি জানলা ভাঙ্গা এবং ঠাকুরের কপালে মোট ছয়টি সোনার টিপ এবং আরেকটি সোনার টিকলি ছিল সেগুলি নেই। এরপরেই আমরা বনগাঁ পুলিশ প্রশাসনকে জানালে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, আমরা খুব দ্রুত এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করবো।
বাসিন্দা ভক্তবাবু আরও জানান, বেশ কয়েক বছর দেবগড় এলাকায় এইসব ঘটনা বন্ধ ছিল আবার নতুন করে শুরু হয়েছে এই সব ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই আমরা আতঙ্কে ভুগছি।
পাশাপাশি অন্য একটি বাড়ির কালী মায়ের মন্দিরেও চুরি হয়। এ বিষয়ে ওই বাড়ির সদস্যা নীলিমা বিশ্বাস বলেন, আমি সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে কর্মসূত্রে কলকাতায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলাম। তখন আমি প্রতিদিনের মত মায়ের মুখ দর্শন করতে যাই। মন্দিরের পর্দা তুলেই দেখি কালী মায়ের মূর্তিটি মন্দিরের গ্রিলের সাথে আটকে আছে তারপর আমার সন্দেহ হওয়াতে আমি সবাইকে ডাকি এবং তারপর দেখতে পাই মায়ের সমস্ত গহনা চুরি হয়ে গেছে। সোনার টিপ, সোনার ত্রি-নেত্র এবং সোনার টিকলি চুরি হয়ে গেছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটালো আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না স্বাভাবিকভাবেই এখন ভয় লাগছে যারা কালীমাকে ভয় পায় না, তারা মানুষকে কিভাবে ভয় পাবে।