সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : বনগাঁর মুকুটে নয়া পালক। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৩। আর রানার্সআপ হয়েই স্বপ্ন পূরণ বনগাঁর মেয়ে দেবস্মিতা রায়ের। তবে তিনি ইতিমধ্যেই তামাম দেশবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন সুরের জাদুতে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা তাবড় তাবড় সংগীত শিল্পীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে দেবস্মিতা। গত সপ্তাহে বনগাঁর বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। ফিরতেই শুভেচ্ছার ঝড় গোটা বনগাঁবাসীর।
শনিবার সন্ধ্যায় বনগাঁ পৌরসভা আয়োজিত বনগাঁ পৌর উৎসবে সন্মানিত করা হয় বনগাঁর মেয়ে দেবস্মিতাকে। উপস্থিত ছিলেন তাঁর মা বাবা থেকে শুরু করে পুরসভার সকল কর্মকর্তারা।
ছবি : জিত ঘোষ
প্রসঙ্গত, রিয়্যালিটি শো'তে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেও জেলার মানুষ কিন্তু দেবস্মিতাকেই প্রথম বলে মেনে নিচ্ছেন মনে মনে। এমনকি প্রতিবেশীরাও জানাচ্ছেন, তাঁদের কাছে সেরা ঘরের মেয়ে দেবস্মিতাই।
ছোট থেকেই গানের সুরে গোটা পাড়াকে মাতিয়ে রাখত দেবস্মিতা। ছোটো বেলায় বাংলা সা-রে-গা-মা-পা এর মঞ্চে ফাইনালিস্ট এর তালিকায় থাকলেও একটুর জন্য প্রথম হতে পারেনি সে। পড়াশোনা আর গান ছাড়া অন্য কোনও দিকে মন দেয়নি কখনও। আর এই গানের সুরই তাকে পৌঁছে দেয় ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর স্বপ্নের দৌড় গোড়ায়। ২২ বছরের দেবস্মিতার সুরে মুগ্ধ হয়েছেন বলিউড তারকারাও।
উল্লেখ্য, বাবার কাছেই গানে হাতেখড়ি দেবস্মিতার। ক্লাসিক্যাল এবং পুরনো দিনের গানই প্রিয় ছিল তাঁর। আর সেই গানেই বারবার বিচারক থেকে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন দেবস্মিতা। ইতিমধ্যেই বলিউডে প্লেব্যাক গাওয়ার সুযোগও এসেছে তাঁর কাছে। বাবা দেবপ্রসাদ রায় একজন পেশাদার গায়ক। রাজ্যের পাশপাশি বনগাঁবাসীরাও খুশি এলাকার মেয়ের সাফল্যে, উচ্ছ্বসিত প্রতিবেশীরাও।
দেবস্মিতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁর পড়াশোনা বনগাঁর কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে, তারপর তিনি সরোজিনী নাইডু কলেজে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ করেছেন। একটুর জন্য প্রথম স্থান দখল না করেলেও, বিন্দুমাত্র আফশোস নেই স্বপ্নের খেতাব জেতা বনগাঁর দেবস্মিতার। তাঁর স্বপ্ন একটি গানের স্কুল করবার।