সমাচার ওয়েবডেস্ক : পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে। তৃণমূল দল থেকেও প্রায় নাম কাটা হয়েছে পার্থর। কিন্তু প্রাক্তন তৃণমূল মহা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর ভূমিকা কী আছে এখন দলে? এতদিন বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আসন পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার সেখান থেকেও সরানো হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বিধানসভা সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
এমন কি বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে ট্রেজারি বেঞ্চে যে মন্ত্রীরা বসেন, সেখান থেকেও সরানো হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আসন। শুধুমাত্র বিধায়করা যেখানে বসেন, সেখানেই কোনও একটি আসন বরাদ্দ হবে তাঁর জন্য। গত সপ্তাহে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার রদবদল ঘটিয়েছেন। দফতর রদবদলের পর পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে ধারে-ভারে যাঁদের গুরুত্ব বেড়েছে, তাঁদের ট্রেজারি বেঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর ব্লকে আসন দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নতুন মন্ত্রীদের ঠাঁই হবে তার পাশের ব্লকে। পার্থর মতো আরো তিন মন্ত্রীর জন্য তৃণমূল বিধায়কদের আসন ঠিক করা হবে। যারা হলেন, মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারী, ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র।
তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার শুরুর থেকেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি বরাদ্দ ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য। দীর্ঘ ১১ বছর তিনি ওই আসনে বসেছেন। এ বার তাঁকে সরানো হচ্ছে সেই স্থান থেকে। বিধানসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সঙ্গে পরিষদীয় দফতরের দায়িত্বেও ছিলেন পার্থ। তাই কাজের সুবিধার জন্যই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এখন তিনি যখন মন্ত্রিসভাতেই নেই, তাই তাঁর আর মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনে বসার যৌক্তিকতাও নেই। তাই তাঁর বদলে গুরুত্বপূর্ণ কোনও মন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি দেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।
অন্যদিকে বিধানসভা সূত্রে জানা গেছে, সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি পেতে পারেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে এখনই এ বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে নারাজ বিধানসভার আধিকারিকরা। গত সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহে কার্যকর করা হতে পারে এই নির্দেশ।