সমাচার ওয়েবডেস্ক : বাংলাদেশে জ্বালানি লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। ঘটে যাওয়া শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ আর্থিক সংকটের কথা এখন সকলেরই জানা। সেই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি থেকেই শুরু হয়েছিল আর্থিক সংকট। বাংলাদেশেও হঠাৎ করে বিভিন্ন ধরনের জ্বালানির দাম মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়েছে। প্রতিটি জ্বালানির দামের উপর ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বাংলাদেশে কেরোসিনের দাম ছিল বাংলাদেশি ৮০ টাকা। সেখান থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৪ টাকা। এছাড়া লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বাংলাদেশি ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। ওকটেনের দামও বাংলাদেশী ৮৯ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৩৫ টাকা প্রতি লিটার। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই এই নতুন মূল্য কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারনেই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মূল্যবৃদ্ধির পরও দাম না বাড়ানোর কারণে বাংলাদেশ সরকারের ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি ঘোষণা হওয়ার পর কার্যকর হওয়া আগে দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। চারচাকা গাড়ি থেকে শুরু করে মোটর বাইক, আগের দামে তেল ভরার জন্য তারা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
এছাড়াও, জ্বালানির দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল বাংলাদেশ থেকে তেল পাচার। ভারতের সাথে তেলের দামের সামঞ্জস্য রেখে যাতে পাচার রোধ করা সম্ভব হয়, সেই কারণেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার নিরুপায় হয়ে এই সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে। পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই এবার থেকে তেলের দাম নির্ধারিত করা হবে।