প্রতিনিধি, কলকাতা : রাজ্য জুড়ে একদিকে ইডি ও অপর দিকে সিবিআই একাধিক দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ৷ যার জেরে সামনে এসেছে রাশি রাশি টাকার পাহাড়৷ জেলে যেতে হয়েছে তৃনমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷ তারপর অনুব্রতকে।
এদিকে সিবিআই, ইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মীরা৷ সিআরপিএফের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় এদিন। যার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সিজিও কমপ্লেক্স এলাকায়৷
এদিন আচমকাই সল্টলেক বিকাশ ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, ইডি এবং সিবিআই কেন্দ্র সরকারের অঙ্গুলি হেলমে কাজ করছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের টার্গেট করছে অথচ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তারা তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না।
শুভেন্দু অধিকারীর নামে খোদ সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন অভিযোগ জানানোর পরও কেন সিবিআই তাকে গ্রেফতার করছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তৃণমূল কর্মীরা৷ আচমকা সিজিও কমপ্লেক্সে এমন রাজনৈতিক হানার ঘটনায় ক্যাম্পাস চত্বরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ যদিও সিজিও কমপ্লেক্সের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানেরা বিক্ষোভকারীদের আটকে দেন৷ দু’পক্ষের মধ্যে গেটের সামনে রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়৷
রাজনৈতিক মহলের মতে, ক’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সেন্ট্রাল এজেন্সিকে দলের স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি৷ এর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে পথে নেমে আন্দোলন হবে৷ এদিনের বিক্ষোভ তারই আনুষ্ঠানিক সূচনা বলেই মনে করছে ওই মহল৷
যদিও বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, ইডি, সিবিআই যেভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে তাতে শাসকের কেচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ার জোগাড়৷ তারই জেরে এবার খোদ কেন্দ্রীয় স্বশাসিত সংস্থার বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা শুরু করল শাসক দল৷