সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : ছাপ্পা ভোট! রিগিং! মারপিট! কোনো কিছু থেকেয় বাদ গেল না বনগাঁ পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচন। রবিবার সকাল থেকে এলাকার ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছিলেন শান্তিপূর্ণ ভাবেই। কিন্তু সেই সময় বিজেপি প্রার্থীর দাবি করেন, কিছু বহিরাগতরা ঢুকেছে ভোট কেন্দ্রে৷ যদিও, তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য শান্তিপূর্ণ এলাকার মানুষজনই মিলেমিশে ভোট দিচ্ছে ৷
আবার, ভোট চলাকালীন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বনগাঁ কবি কেশব লাল বিদ্যাপীঠের সামনেই হঠাৎই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তৃণমূল প্রার্থী পাপাই রাহা দাবি করেন, বিজেপির পক্ষ থেকে বাইরের লোক নিয়ে আসা হয়েছে ওয়ার্ডে। এছাড়া বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া তাঁর সাথে আরও কিছু বাইরের লোক এসেছে ভোট করানোর জন্য।
পাল্টা বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া বলেন, আমি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আমি আসতেই পারি। এলাকা সরগরম হয়ে উঠতেই কুইক রেস্পন্স টিম এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ভোটার ছাড়া বাকি সকলে বুথের এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসতেই, বনগাঁ নিউমার্কেট চত্বরে তৃণমূলের একাংশ চরাও হয় বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার সহ তাঁর নিরাপত্তা বাহিনীর উপর। পুলিশের সামনেই তাঁদেরকে মারধরের ঘটনা ঘটে। নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেন পুলিশ বাহিনী।
অন্যদিকে, ছাপ্পা ভোট এবং বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে মারধরের ঘটনায় বনগাঁ রাজপথে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা।
আবার, তৃণমূলের ভোট দুর্নীতির প্রতিবাদে বনগাঁ রামনগর রোড এলাকায় সিপিএম এমং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাস্তা অবরোধ করা হয়। এ বিষয়ে সিপিআইএম প্রার্থী ধৃতিমান পাল বলেন, সকাল থেকেই দুটি জায়গাতেই সমানে তৃণমূল রিগিং করে যাচ্ছে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে। আমরা এরই প্রতিবাদে আজ পথ অবরোধ করলাম।
এদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। তাঁদের দাবি, ফের নতুন করে ভোট করতে হবে।