Grass : ঘাসের উপকারতা জানেন? জানলে চমকে উঠবেন

Know-the-benefits-of-grass-You-will-be-surprised-to-know

সমাচার ওয়েবডেস্ক : সাধারনত আগাছা হিসেবেই পরিচিত ঘাস বা দুর্বা ঘাস। যেকোনো জায়গায় যত্ন ছাড়াই সহজেই বেড়ে ওঠে এই ঘাস। কিন্তু এই আগাছার রয়েছে মূল্যবান ঔষধি গুণ। এটি মানবদেহকে সুস্থ ও সবল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। সামান্য রক্তক্ষরণ থেকে কেটে যাওয়া বা আঘাতজনিত রক্তপাত, চুল পড়া, চর্মরোগ, দন্তরোগ ও আমাশয়ে সহ বিভিন্ন কারনে বেশ উপকারী এই ঘাস। জেনে নিন বিস্তারিত...

১. শ্বেতপ্রদহজনিত দূর্বলতায় দুর্বা ঘাস ও কাঁচা হলুদের রস সমপরিমাণে মিশিয়ে খেলে এই রোগীরা দূর্বলতা কাটিয়ে ওঠতে সক্ষম হবেন।

২. শরীরের কোন স্থান কেটে গেলে দুর্বা ঘাস পিষে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে রক্ত পড়া সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়। এ কাজটি গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই করেন। এক্ষেত্রে দূর্বার শিকড় ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

৩. দুর্বা ঘাস শরীরের রেচনতন্ত্রের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। প্রস্রাবে কষ্ট হলে দুর্বার রস দুধ ও পানি মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। তবে অর্শরোগ থাকলে এটা খাওয়া যাবে না।

৪. দুর্বা ঘাস চুল ওঠা বন্ধ করে। একটি পাত্রে এক লিটার নারিকেল তেল মৃদু তাপে জ্বাল করে ফেনা ফেলে নিন। তারপর দূর্বার ঘাসের টাটকা রস ২০০ মিলি সম্পূর্ণ তেলে মিশিয়ে ফের জ্বাল দিন। চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে সংরক্ষণ করুন। গোসলের ১ ঘণ্টা আগে ওই তেল চুলে মাখুন। নিয়মিত ২ থেকে ৩ মাস ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে।

৫. বমি বমি ভাব বন্ধের জন্য দূর্বা ঘাসের রস ২ থেকে ৩ চামচ অল্প চিনির সঙ্গে মিশিয়ে ১ ঘণ্টা পর পর খাবেন। বমি ভাব কেটে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দিন।

 ৬. আয়ুর্বেদীয় মতে দুর্বা ঘাস মহৌষধ। মুখ, নাক ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে রক্ত পরতে থাকলে দুর্বা ঘাসের রসের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে খাওয়ালে এই রোগের উপশম হয়।

৭. দুর্বা ঘাস সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও সম্ভাবনাময় ওষুধ। গর্ভধারণে অসমর্থ হলে দুর্বা ও আতপ চাল এক সঙ্গে বেটে বড়া করে ভাতের সঙ্গে সপ্তাহে তিন-চারদিন খেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

৮. আমাশয়ে দূর্বা ঘাসের রস ২ থেকে ৩ চামচ ডালিম পাতার রস ৪ থেকে ৫ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার খান। আমাশয় ভালো হয়ে যাবে। দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় রোগেও দুর্বা ঘাস ফলদায়ক। এক্ষেত্রে দুর্বা ঘাসের রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ১৬ দিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।

Disclaimer : এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। Sarbabhauma Samachar এই প্রেসক্রিপশনগুলিকে সমর্থন করে না।)

Post a Comment

Previous Post Next Post