কলকাতার এক নামী বই প্রকাশনা সংস্থায় খাটত অনুব্রত মণ্ডলের টাকা। সিবিআই জানালো আয়কর কে

Anuvrata-Mandals-money-was-used-in-a-well-known-book-publishing-company-in-Kolkata-CBI-told-Income-Tax

প্রতিনিধি, কলকাতা : বোলপুরে দেখা গেল সিবিআই অধিকারীদের। রেজিস্ট্রি অফিস-সহ শহরের একাধিক জায়গায় চলল তল্লাশি অভিযান। অজয় নদের উপরে সেতুতে টোল প্লাজা বন্ধ রাখার নির্দেশ।

গোরুপাচারকাণ্ডে  অনুব্রত মণ্ডল আজ সিবিআই এর হেফাজতে। কলকাতার একটি নামী প্রকাশনী সংস্থা সঙ্গেও আর্থিক লেনদেন চলত তাঁর এই কথা কি সত্যি? আয় ব্যয় এর হিসেব জানতে চাইলো সিবিআই আইকর এর কাছে। কত কোটি টাকার মালিক কেষ্ট? বেনামে কোথায় সম্পত্তি? বোলপুরজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালালেন তদন্তকারীরা। বাদ হলো না রেজিস্ট্রি অফিসও। তবে এ ঘটনা কেন? সূত্রের খবর, অনুব্রত ঘনিষ্ট বিদ্যুৎ গায়েনের সম্পত্তি সন্ধানে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এমনকী, বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হল অজয় নদের উপর সেতুর টোল প্লাজাও।

সময় নেই হাতে আর একটু ও। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় সিবিআইয়ের হেফাজতে মেয়াদ শেষ হবে অনুব্রতের। সেদিনই গোরুপাচারকাণ্ডে ফের আসানসোলের আদালতে পেশ করা হবে অনুব্রত মণ্ডল কে ‌। ফের বোলপুরে গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালালেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অনুব্রতকে জেরা করার আগে আরও বেশ তথ্য ও নথি তাঁরা হাতে পেতে চান।

বোলপুরে শহরের পূ্র্ব পল্লী এলাকায় একটি গেস্ট হাউসে অস্থায়ী ক্য়াম্প করেছে সিবিআই। এদিন তদন্তকারীরা সকালে সেই ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে নেতাজি মার্কেট সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যান ,দীর্ঘক্ষণ ধরে সেখানে চলে তল্লাশি। সিবিআই সূত্রের খবর, গোরু পাচারকাণ্ডে তদন্তে বিদ্যুৎ গায়েন নামে এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠের সন্ধান মিলেছে। কেন এই বিদ্যুৎ গায়েন? ২০০৮-০৯ সালে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে বোলপুর পুরসভায় হিসেবে চাকরি পান বিদ্যুৎ গায়েন। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি মালিক হয়ে ওঠেন তিনি। 

কীভাবে? ২০০৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কত সম্পত্তি নথিভুক্ত হয়েছে গায়েনের নামে? সেই তথ্য সংগ্রহ করতে রেজিস্ট্রি অফিসে তদন্ত শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা। একটির নাম ভোলে বোম, আর একটি শিবশম্ভু। বোলপুরের বেনামে দুটি রাইসমিলও লিজ নিয়েছিলেন অনুব্রত! দুটি রাইসমিলেই ইতিমধ্যেই তল্লাশি হয়েছে। রেজিস্ট্রি অফিসে সে বিষয়ে তদন্তকারীর খোঁজ খবর নেন বলে বলে সূত্রের খবর। 

এর আগে, সোমবারও বোলপুর তল্লাশি অভিযান চলে সিবিআইয়ের। কোথায়?  শাওনধারা আবাসনে। এরই মধ্যে জানা গেছে অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। একটি বিএইচকে, আর অন্যটি থ্রি বিএইচকে। শুধু তাই নয়, অনুব্রত যে দুটি গাড়ি ব্য়বহার করতেন, লালবাতি বিতর্কে আগে সেই গাড়ি দুটি এই আবাসনে রাখা হত বলে জানিয়েছেন আবাসনের কর্মীরা।

বোলপুরের শহরের বাইপাস লাগোয়া শাওনধারা আবাসন। সোমবার যখন ওই আবাসনে যান সিবিআই আধিকারিকরা, তখন তাঁদের সঙ্গে এক মহিলা ব্য়াঙ্ক কর্মী। সায়গলের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সায়গল এখন আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন মামলায় এখন সিবিআই হেফাজতে ।প্রচুর তথ্য তাঁকে জেরা করে পাওয়া গেছে বলে জানান তদন্তকারীরা। সেই তথ্যগুলি এবার স্ত্রী বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।



Post a Comment

Previous Post Next Post