সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : 'দ্য রাইজিং ইয়াংস্টার' (The Rising Youngster)। নামটা যতই বড় হোক না কেন, কাজটা ছোটদের নিয়ে। করনা কালের শুরু থেকে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁর কয়েকজন যুবক যুবতী ভেবেছিলেন পিছিয়ে পরা শিশুদের পাশে দাঁড়াবেন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। শুরু হল ৩৫ টা শিশুকে নিয়ে পথ চলা। নামকরন হল 'দ্য রাইজিং ইয়াংস্টার'। এখন পাঠশালার পড়ুয়াদের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় ১২৫ জন।
রবিবার ছিল 'দ্য রাইজিং ইয়াংস্টার' এর দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। সেই উপলক্ষে সারাদিনব্যাপী পাঠশালার পড়ুয়াদের নিয়ে আয়োজন করা হয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সহ নানান সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠান সূচীতে ছিল, 'বসে আকোঁ প্রতিযোগিতা', যেমন খুশি তেমন সাজো, আবৃত্তি, গান, নাটক সহ পাঠশালার সকল পড়ুয়াদের পাঠ্যসামগ্রী প্রদান ও সর্বশেষে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সমাজসেবী দেবাশীষ রায় চৌধুরী, বনগাঁ ব্রিলিয়ান্ট চাইল্ড একাডেমীর শিক্ষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় সহ পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মী এবং চাইল্ড লাইনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন ব্রিলিয়ান্ট চাইল্ড একাডেমীর পক্ষ থেকে শিক্ষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় শিশুদের হাতে তাঁদের প্রয়োজনীয় বই-খাতা এবং পেন্সিল তুলে দেন।
'দ্য রাইজিং ইয়াংস্টার' এর সন্ধ্যাকালীন অনুষ্ঠানে নাচ, গানের সাথে পরিবেশিত হয় সুকুমার রায়ের লেখা অবাক জলপান নাটকটি। 'দ্য রাইজিং ইয়াংস্টার' সংস্থার পক্ষ থেকে মূল উদ্যোক্তা পার্থ রায় ও কথিকা ঘোষ জানান, করোনার শুরুতে আমরা মোট ১৫ জন যুবক যুবতী মিলে ঠিক করি পিছিয়ে পরা শিশুদের পাশে দাঁড়াবো। সেই মোতাবেক প্রথমে ৩৫ জন শিশুকে নিয়ে শুরু করলেও এখন সেটা ছাড়িয়েছে প্রায় ১২৫ জন।
আজ 'দ্য রাইজিং ইয়াংস্টার' এর দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পাঠশালার পড়ুয়াদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের। আমাদের নিজেদের পকেটের সঞ্চয়য়ের টাকা দিয়েই চলছে এই পাঠশালা। যদিও, কখনও কখনও কিছু মানুষ এগিয়ে এসে আর্থিক সহযোগিতা করেন। এভাবে সরকারি ভাবে কিছু আর্থিক সহযোগিতা পেলে আগামীতে তা শিশুদের উপকারে লাগবে।