সার্বভৌম সমাচার : রাজ্যে টেট দুর্নীতি চন্দন'ময়। উত্তর ২৪ পরগণার বাগদার চন্দনের পর এবার বনগাঁর চন্দন ওরফে সুকান্তকে নিয়ে বিতর্ক শুরু গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গত ৯ই জুন করা ফেসবুক পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁতে। সেই পোস্টে চন্দনের ছায়ার উল্লেখ করে এক তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ না করেই পোস্টটি করা হয়েছে। পোস্টে অউল্লেখিত তৃণমূল নেতার নাম হল সুকান্ত মাহাতো ওরফে গোপাল মাহাতো। সুকান্ত মাহাতো বনগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান এর শিক্ষক, অন্যদিকে তিনি আবার তৃণমূলের এস.টি. সেলের সভাপতি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তিনি।
প্রতারিত অভিযোগকারি মৌসুমি ঘোষ বলেন, আমাদের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছে সুকান্ত ওরফে গোপাল। চাকরি তো পাইনি, এখন টাকা চাইতে গেলে সুকান্ত অস্বীকার করে। অন্যদিকে, সেচ দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে সাড়ে চার লক্ষ টাকা নিয়েছিল গোপাল এমনি দাবি স্থানীয় বাসিন্দা বেদানা ঘোষের।
বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডলের অভিযোগ, তৃণমূল নেতা সুকান্ত মাহাতো ওরফে গোপাল মাহাতো চাকরি দেওয়ার ও বদলি করার নাম করে মানুষকে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করেছে।
বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য বলেন, আমাদের পাড়ার কিছু মানুষ অভিযোগ করেছেন এই বিষয়ে। এতে বনগাঁ হাই স্কুলের সন্মান নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসন এর ব্যাবস্থা করবে।
বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ জানান, আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। কিছু লোক আছে এসব কথা রটিয়ে তৃণমূলের নাম খারাপ করার চেষ্টা করছে।