প্রতিনিধি : ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য বনগাঁয়। স্বামীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ প্রতিবেশীদের। এমনকি উত্তেজিত জনতা তাঁকে আক্রমণ করে, গণধোলাই দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বনগাঁ থানার শক্তিগড় নরত্তম পল্লী এলাকায় ঘটেছে। মৃতের নাম প্রিয়া সেন (২২)। তাঁর স্বামী রথিন সেন পেশায় বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী। তাঁদের দু'বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে।
এই সপ্তাহের কাগজ... Sarbabhauma_Samachar_Issue_03_Date_07_04_2022
পাড়ার লোকেদের অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় প্রতিনিয়ত প্রিয়ার স্বামী তাকে মারধোর করত। এমনকি খুনের হুমকি দিয়ে কারো সাথে মেলামেশা করতে দিত না। এদিকে রথিন ও তার পরিবারের লোক জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু তা মানতে নারাজ স্থানীয়রা।
একই পেশায় যুক্ত উর্মিলা এদিন ঘটনার পর বলেন, "রথিন রোজ প্রিয়াকে মারধর করলে শ্বশুর বাড়ির লোক তা প্রশ্রয় দেয়। কাল বিকেলে প্রিয়ার সাথে আমার শেষ কথা হয় ফোনে। প্রিয়া শুধু বলতো আজ আমাকে মেরে ফেলবে রথীন। আমি সুইসাইড করে নেব।"
বন্ধুদের নিয়ে ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে প্রতিবাদ করায় ইঁট দিয়ে বাবার মাথা ফাটিয়ে দিল ছেলে
রথীন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পাড়ার লোকের একই অভিযোগ জানান। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও অকথ্য ভাষায় মন্তব্য করতেন রথীন ও তাঁর পরিবার। এর আগেও একাধিকবার মেরে প্রিয়ার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার কথা ও জানান প্রতিবেশীরা।
শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হলে এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। খুনের অভিযোগ তোলা হয় রথিনের বিরুদ্ধে। এরপরই তাঁকে আটকে তাঁর উপর চড়াও হয় স্থানীয়রা। ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি, এমনকি ওই আইনজীবীর বাইকও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
নেশায় মত্ত ছেলেকে হাত-পা বেঁধে খুন করলেন বাবা; আলিপুরদুয়ার
খবর পেয়েছে ঘটনাস্থলে যায় বনগাঁ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। তারাই আইনজীবী ও তার পরিবারকে উত্তেজিত জনতার কবল থেকে উদ্ধার থানায় নিয়ে আসে।
ওই ঘটনার অভিযোগে পুলিশ মৃতার স্বামী রথীন সেন, দেওর রজত সেন, শাশুড়ি সুতপা সেন কে প্রেফতার করেছে এবং শশুর রবীন্দ্রনাথ সেন পলাতক।