ওয়েব ডেস্ক : বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচন নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে টানটান উত্তেজনা। প্রাথমিক পর্যায়ের পর ভোট গণনা যখন শেষ পর্যায়ে, তখনও দুই আসনে এগিয়ে ঘাসফুল শিবির। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত বালিগঞ্জে একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলেছে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় এবং সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের।
রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর খালি হয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা আসন। পাশাপাশি বাবুল সুপ্রিয় গত অগাস্টে আসানসোলের সাংসদ হিসেবে পদত্যাগ করে পরে তৃণমূলে যোগ দেন। সেই ফাঁকা আসনেই গত ১২ এপ্রিল ভোট গ্রহণ হয়েছে। দুই উপনির্বাচনেই শেষল্যাপে প্রচারের ঝড় তুলেছে ডান-বাম সবপক্ষ।
আরও পড়ুন-- পাঞ্জাব বিধানসভায় হট্টগোল, নেতাদের মধ্যে হাতাহাতি
এই ভোটের আবহে রাজ্যব্যাপী নারী নির্যাতন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং বগটুই নারকীয় ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সেই প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার হাওয়া ব্যালট বাক্সে পড়বে সেই আশায় বিরোধী শিবিরের প্রচার কৌশলে ছিল আত্মবিশ্বাস। কিন্তু এদিন ব্যালট খুলতেই ধরা পড়েছে অন্য চিত্র।
শেষ খবর পাওয়া অবধি ১৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী বাবুল সুপ্রিয় (প্রাপ্ত ভোট ৪৮,১০৯)। আর সিপিএম-র সায়রা শাহ হালিম পেয়েছেন ৩০,১৯০টি ভোট। দক্ষিণ কলকাতার এই বিধানসভা আসনে তৃতীয় স্থানে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। ভোট শতাংশের বিচারে তৃণমূল পেয়েছে ৪৭.৬৩%, সিপিএম-র ঝুলিতে ৩৬% ভোট। বিজেপি প্রায় ৮% শতাংশ এবং কংগ্রেস পেয়েছে ৭% ভোট।
আরও পড়ুন-- ভাইস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে অভিনব ইলিশ উৎসব
এদিকে, এক সময় আসানসোল লোকসভার ৭টি বিধানসভার মধ্যে ৪টিতে তৃণমূল এবং ৩টি বিধানসভায় বিজেপি এগিয়ে ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গেই ৭টি বিধানসভাতেই এগিয়ে তৃণমূল। এই আসনে মূল লড়াই তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহা এবং বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের। শত্রুঘ্ন সিনহা এগিয়ে প্রায় দু লক্ষ ভোটে, ঝুলিতে ৫৬% ভোট। পাশাপাশি বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের ঝুলিতে ৩১.৩৬% ভোট।
সূত্র: ভারতের নির্বাচন কমিশন