ওয়েব ডেস্ক : পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বিধানসভায় হাতাহাতি হয়েছে। বিধায়করা একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ইমরান খানের দল পিটিআই এবং শাহবাজ শরিফের দল পিএমএল-এন-এর বিধায়কদের মধ্যে লড়াই হয়েছে। ইমরান খান এখন ক্ষমতার বাইরে। তার জায়গায় পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরিফ।
উল্লেখ্য, পাঞ্জাব প্রদেশের পাঞ্জাব বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে পিটিআই এবং পিএমএলকিউ বিধায়করা আক্রমণ করেছেন। ইমরান খানের বিদায়ে ক্ষুব্ধ তার দল পিটিআই-এর নেতাকর্মীরা। আজ পাঞ্জাব বিধানসভায় এমনটাই দেখা গেল, চলল তুমুল হট্টগোল।
আরও পড়ুন-- ‘প্রধানমন্ত্রীর জাদুঘর’ প্রথম টিকিট কিনলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি
লাহোর হাইকোর্ট শুক্রবার পাঞ্জাব বিধানসভাকে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ১৬ এপ্রিলের আগে নির্বাচন পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছে। উসমান বাজদারের পদত্যাগের পর এই পদটি শূন্য রয়েছে।
PTI is the worst thing that happened to Pakistan and it's democracy. #PunjabAssembly pic.twitter.com/t8UxJxBicT
এর আগে, নতুন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ভোট 3 এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তবে প্রতিবাদী বিরোধী নেতারা বিধানসভা হল ভাংচুর করার পরে এটি ৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। তবে, পরে এটি ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-- ভাইস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে অভিনব ইলিশ উৎসব
ইতিপূর্বে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী উসমান বাজদার গত ১ এপ্রিল পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, যার পরে পাঞ্জাব বিধানসভা হাউসের নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য একটি অধিবেশন আহ্বান করেছিল।
এরপর যখন পাঞ্জাব বিধানসভা অধিবেশন ডাকা হয়, তখন ক্ষমতাসীন পিটিআই বিধায়করা ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি উত্থাপনের পরে, পাঞ্জাব বিধানসভা সরকার কর্তৃক সিল করে দেওয়া হয়েছিল এবং সেখানে ভারী পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সুত্র-zeenews.com