বিশেষ নিবন্ধ
বিষাদে ভরা মন
অশোক কুমার হালদার
মানুষের মনের এক সংবেদনশীল বন্ধন যুক্ত অবস্থা। অর্থাৎ মনের এক অসাম্য অবস্থা। যাতে মনের ভেতরে স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রক গুণগুলি বৈষম্য প্রদর্শন করে। আর তার কারণেই মন অনুতাপে ভরে যায়। তখন মন স্বাভাবিক বিচারের অযোগ্য হয়ে একগুয়েমির জন্ম দেয় এবং মনের বিচারবোধের ধারাবাহিকতা ও ছন্দ হারিয়ে বিষাদে ভরে যায়।
মানুষের মন বিষাদে ভরার অনেক কারণ থাকে। কখন মনের এই অসামঞ্জস্য এবং অসংগত আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আবার কখন ঘটে না। সেটা মনের মধ্যে চাপা উওেজনা হয়ে থাকে। যখন কোন যোগ্য ব্যক্তি তার যোগ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত হয় বা যোগ্য ব্যক্তির যোগ্যতা অনুযায়ী কর্ম বা অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে এই সংবেদনশীল মন লজ্জাবতী লতার মতো নুইয়ে পড়ে। এটি একধরনের বিষাদ যোগ। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের মনের এই সাম্য অবস্থা থেকে বিচ্যুতির কারণে মানুষ অনেক রোগ ব্যাধির শিকার হয়ে পড়ছেন।
যেমন, মানসিক অবসাদ প্রেসার এবং সুগার রোগ দ্বারা পীড়িত হওয়া দেখা গেছে কোন ব্যক্তি এম.টেক পাশ করেছে কিন্তু তার কোন চাকরি নেই তার যোগ্যতা অনুযায়ী। আর যেটা চাকরি পেয়েছে, সেটা একটি অস্তায়ী চাকরি। সেই ক্ষেএে দেখা গেছে ঐ ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্বেও বৈষম্যতার শিকার। যেহেতু মন খুব সংবেদনশীল, মনের বিচারে এটি অসামঞ্জস্য বিচার। এই অবস্থাতে মন বিষাদে ভরে যেতে পারে। আবার এমনও দেখা গেছে, কোন ব্যক্তি সরকারী সংস্থায় কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন। কর্মও করছিলেন দায়িত্বপূর্ণ ভাবে। কিন্তু কর্মচারী বন্ধুদের ষড়যন্ত্রের শিকারে বাধ্য হয়ে চাকরির নির্দিষ্ট সময়ে অবসরের আগেই চাকরি থেকে বিদায় নিতে বাধ্য করা হলেও মন ভারাক্রান্ত হয় বা বিষাদগ্রস্থ হয়।
কারণ, মনের বিচারে সেটা হয় দমন, পীড়ন এবং পক্ষপাতিত্ব নীতির কারণে। তখনও মন বিষাদে ভরে যায়। আবার যোগ্য ব্যক্তি যোগ্য স্থান না পাওয়ার জ্বালাতেও মন ভারাক্রান্ত হয়। আবার চক্রান্তকারীদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে কর্মস্থলে নিজের কর্ম রক্ষা করতে না পারলেও মন বিষাদে ভরে যায়।