সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : পৌরভোটের আর বাকি আর মাত্র দুদিন। তারই মধ্যে পাখির চোখে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ পৌরসভা। হেভিওয়েটের লড়াই বনগাঁ পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ডে।
বৃহস্পতিবার বনগাঁ পৌর ভোটের নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সেই মঞ্চেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন প্রশাসক গোপাল শেঠ নাম না করেই প্রাক্তন পৌর প্রশাসক শংকর আঢ্য কে একহাত নেন। তিনি বলেন, 'আমাকে মারার চক্রান্ত হচ্ছে। আমি মারা গেলে বুকের উপরে তৃণমূলের পতাকা দেবেন। সবাই মিলে আমাকে শ্মশানে নিয়ে যাবেন।' আমার বাবা শান্তি পাবে। বলবে, আমি মানুষের জন্য মরতে পেরেছি, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পেরেছি।'
ফের পুলিশের বড় সাফল্য, ফল বোঝাই ট্রাকে মিলল ১৬১ কেজি রূপোর গহনা, ৪৮০ মোবাইল ফোন!
তিনি আরো অভিযোগ তোলেন, দলে থেকে দলের সঙ্গে গাদ্দারি করছেন। নিজের ভাইকে আমার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। পার্টিতে নাম লিখিয়ে ভাবছেন আমি পার্টির ভিতরে আছি এরকম হতে দেব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব দেখছেন। আমরা চাই বনগাঁয় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক। কোনো সন্ত্রাস হতে দেব না।
নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ থেকে বর্তমান বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস নাম না করে প্রাক্তন পৌর প্রশাসকের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, বিগত দিনে এখানে একজন অপদার্থ পৌর প্রশাসক ছিল। এছাড়াও এদিনের মঞ্চ থেকে একাধিক নেতা প্রাক্তন পৌর প্রশাসক এর নাম না করে তার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন।
যদিও এই প্রসঙ্গে বনগাঁর প্রাক্তন পৌর প্রশাসক শংকর আঢ্য বলেন, তিনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। হেরে যাওয়ার ভয়ে এইসব বলছেন। এরকম নিশংস উনি হতে পারেন। আমার স্ত্রী তাঁকে একদিন হলেও ভাইফোঁটা দিয়েছেন। আত্মীয়তা আমরা রক্ষা করি। ওনার যদি কিছু হতে হয় তার আগে আমার বুকে আঘাত করে, তারপর উনার উপরে আঘাত যাবে। মানুষ ভোট দিক, যাকে কর্মীরা চাইবে সেই জিতবে।