প্রতিনিধি : বনগাঁ পৌরসভায় ভোটের লড়াই হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে। মোট ২২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩, ৪, ৭, ১৩ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট লুটের আশঙ্কার অভিযোগ করছেন বিরোধী থেকে শুরু করে শাসক দল। বনগাঁ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন গোপাল শেঠ। অন্যদিকে বিজেপির মধুসূদন মণ্ডল, আবার এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের ভাই কংগ্রেস প্রার্থী মলয় আঢ্য।
তৃণমূল প্রার্থী গোপাল শেঠের অভিযোগ, মলয় আঢ্য বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের এনে ভোট লুট করার পরিকল্পনা করেছে। পুলিশকে জানিয়েছি, জীবন থাকতে ভোট লুট করতে দেব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর মানুষের আস্তা আছে। তাই জেতা নিয়ে আমি ভয় পায়না। মানুষকে ভোট দিতে দিলে জয় আমার নিশ্চিত।
পৌরভোটের আগেই বোমা আতঙ্কে উত্তপ্ত রাজ্যের দুই জেলা!
এব্যাপারে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস জানান, ‘আগে থেকেই আমরা বুঝতে পারছি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিরোধী প্রার্থীর জামানত জব্দ হবে। আর সেই কারণে তারা শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। কোনওরকম হামলা বা হেনস্থার ঘটনা ঘটেনি। পুলিশকে অনুরোধ করেছি, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য, যাতে একসঙ্গে ৩–৪ জন জড়ো হয়ে কোনওরকম গোলমাল ঘটাতে না পারে।
অপর দিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন শংকর আঢ্যের স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য, বিজেপির প্রার্থী পার্বতী দত্ত। কিন্তু এখানে ভোট লুটের প্রসঙ্গটা একটু আলাদা। জ্যোৎস্না আঢ্যের অভিযোগ, তৃণমূলের নেতারাই তাঁকে হারানোর চেষ্টা করছে। বিজেপিকে মদত দিয়ে ভোট লুট করার পরিকল্পনা করছে তাঁরা।
কংগ্রেস প্রার্থী মলয় আঢ্যকে মারধোরের অভিযোগ
৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের সমর্থিত প্রার্থী কার্ত্তিক মণ্ডল এবং বিজেপি প্রার্থী দেবদাস মণ্ডল। দেবদাস মণ্ডলের অভিযোগ কার্ত্তিকবাবু প্রভাবশালী ব্যক্তি, ইতি মধ্যে বহিরাগতদের এলাকায় ঢুকিয়ে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করছে। পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশের উপর আস্তা আছে। ভোট লুট করতে দেবেনা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ।
ত্রিমুখী লড়াই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমি চক্রবর্তী, বিজেপির সমর্থনে ঝুমা ভট্টাচার্য্য এবং সিপিআইএমের প্রার্থী দিশারী মুখার্জি। বিজেপি প্রার্থীর ঝুমা ভট্টাচার্য্যের অভিযোগ, গতবারের পুর নির্বাচনে এই ওয়ার্ডের সবকটি বুথে ভোট লুট হয়েছিল। মানুষের উপর ভরসা ছিল না তৃণমূলের। এবারেও নেই। আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষ ভোট দিতে পারলে জয় নিয়ে আমি আশাবাদী।' একসময় ওয়ার্ডটি বামেদের দখলে ছিল। পরে পরিস্থিতির বদল ঘটে। এলাকার বামপন্থীরা মনে করছেন, এখানকার বিদায়ী কাউন্সিলরের ভূমিকায় মানুষ সেভাবে সন্তুষ্ট নন। তাই এলাকার মানুষ ফের বামেদের ফেরাতে চাইছেন।
এই ওয়ার্ডের ৪ টি বুথ মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের কাছাকাছি। এলাকাবাসীর দাবী, গত পুর নির্বাচনে অনেকেই তাঁদের নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন নি। ফলে তাঁদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।