বিশেষ নিবন্ধ : হাওয়ার প্রতিকূলে--- অশোক কুমার হালদার

 বিশেষ নিবন্ধ 

হাওয়ার প্রতিকূলে

                                                      অশোক কুমার হালদার

    সামজিক চিত্রপটে সমাজে বিভিন্ন কর্মক্ষেএে মানুষের কর্ম জীবনে ভিন্নতার যে প্রতিযোগিতা থাকে, তার মধ্যেই এই হাওয়ার প্রতিকূলতা সৃষ্টি হতে দেখা যায়। মানুষ সমাজে প্রতিটি ক্ষেএেই, সুখ ও স্বচ্ছন্দ এবং অনুকূল অবস্থার প্রতি বিশেষ আগ্রহী। কখন মানুষ চায় না প্রতিকূল অবস্থা এসে তার জীবনকে প্রতিহত বা আশাহত করে দেয়। প্রকৃতি পরিবেশে বা কর্মক্ষেএে শুধু জীবন তরণীর নৌকার পালে অনুকূল হাওয়া থাকে না। এই জীবন তরণীর পালে বেশীরভাগ সময়েই প্রতিকূল হাওয়ার সম্মুখীন হতে হয়। সে রাজা হোক বা প্রজা বা রাজকর্মচারী বা একজন নৌকার মাঝি বা একজন পরিবারের গৃহস্বামীকে বা সমাজের যে কোন কর্মস্থলের কর্মচারীকেই বেশিরভাগ সময়ই এই প্রতিকূল হাওয়ার মধ্যে দিয়েই অতিবাহিত করতে হয়। কিন্তু সব সময় যে এই প্রতিকূল অবস্থাকে অনুকূলে আনতে গেলে প্রচুর পরিমাণে মানসিক এবং শারীরিক পরিশ্রম বা কসরত করতে হয়। আমাদের এই প্রকৃতির সংসারটি খরশ্রোতা নদীর মতোই প্রবাহিত হয়ে চলেছে। আমরা এই খরস্রোতা নদীর মধ্যে কর্ম চঞ্চলতাই ব্যস্ত আছি। যে বা যারা এই নদীর স্রোতের অনুকূলে রয়েছেন, তারা খুব কম শ্রমের দ্বারায় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেএেই সুখ ও স্বছন্দ অনুভব করছেন। আর যারা এই স্রোতের বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন, কেবল তারা প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হয়ে, অনুকূল অবস্থায় আসার সৃষ্টি কর্মে লিপ্ত আছে।যখন দুই জন সাঁতারু, একজন স্রোতের অনুকূলে কর্ম করে স্রোতে গা-ভাসিয়ে দিয়ে খুব সহজেই অনেক দূরে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু অপর জন সাঁতারু যখন স্রোতের প্রতিকূলে কর্ম করে যাছে। কিন্তু তার কোন স্বাছন্দ নেই এবং এগোতে পারছে না। কিন্তু শারীরিক এবং মানসিক ভাবে প্রথম জনের থেকে বেশী মাত্রায় করসত বা কার্য করছেন।কিন্তু তার কর্মের সফলতা আসছে না, যেহেতু স্রোতের প্রতিকূল মেরুতে রয়েছেন। কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। একটা সময় আসবে, যখন প্রতিকূল মেরু অতিক্রম করে, তীরে পৌঁছাবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post