ঈশিতা সাহা : মালদহ, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ- তিন জেলাতেই নদী ভাঙনের সমস্যা নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে জলের তলায় চলে যাচ্ছে বহু চাষের জমি। বাড়িঘর হারাচ্ছেন বহু মানুষ।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী তিনটি জেলার ভাঙনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং নদিয়া। আর এই ভাঙনের জন্য নদীর গতিপথ বদলকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ফরাক্কা ব্যারেজ নির্মাণের প্রভাব পড়েছে নদীর গতিপথে। যার ফলে গত দু' দশক ধরে এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তিন জেলা।
পিছিয়ে গেল পেগাসাস মামলার শুনানি
এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই জলসম্পদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ২০০৫ সালে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়েছিল। যাতে নদীর পাড়ের ক্ষয়রোধ করা যায়। ২০১৭ সালে এই ক্ষমতায় বদল ঘটান কেন্দ্রীয় সরকার। যা কার্যত একতরফাভাবে করেছিল কেন্দ্র।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, গত ১৫ বছরে তিন জেলার প্রায় ২৮০০ হেক্টর কৃষি জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে৷ সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এক হাজার টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে৷ যদিও রাজ্যের তরফে বার বার কেন্দ্রকে নদী ভাঙন রোধে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করা হলেও কাজ হয়নি৷ উল্টে রাজ্যের তরফেই প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা খরচ করে নদী ভাঙন রোধের কাজ শুরু করা হয়েছে৷
বিজেপি প্রার্থীদের ঝেটিয়ে বিদায় দেওয়ার নির্দেশ বনগাঁ জেলা সভাপতি আলো রানীর
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গঙ্গা- পদ্মার দু' পাড় সংলগ্ন ৩৭টি জায়গায় অবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা প্রয়োজন৷ যার জন্য প্রায় ৫৭১ কোটি টাকা প্রয়োজন৷ কেন্দ্রীয় সরকার যাতে অবিলম্বে ফরাক্কা ব্যারেজের দু' দিকে ১২০ কিলোমিটার এলাকায় নদীর পাড় ভাঙন আটকানোর কাজের দায়িত্ব নেয়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷