প্রতিনিধি : উত্তর বারাকপুর পুরসভায় প্রাক্তণ শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গোপাল মজুমদারের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতে ফের আক্রান্ত তৃনমূল যুব নেতা সহ এক কর্মী। যা নিয়ে পুরভোটের আগে ফের অশান্ত উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর লোকসভা।
অভিযোগ, এদিন রাতে উত্তর বারাকপুর পুরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ছাত্র যুব সভাপতি দীপঙ্কর সাহা ও আর এক কর্মী একটি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। ঠিক সেই সময় স্থানীয় চালবাজার বরফ কল আসতেই বেশ কিছু দুষ্কৃতী তাদের বাইক দাঁড় করিয়ে ব্যাপক মারধর করে।
নির্দল প্রার্থীর ব্যানার ছিঁড়ে তাকে ভয় দেখানোর অভিযোগ
এমনকি তৃণমূল কর্মী সমীর বসুকে রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি মারধর করে তারা। আশঙ্কা জনক অবস্থায় সমীর বসুকে বিএন বসু মহকুমা হসপিটালে ভর্তি করানো হয়। অভিযোগ পুরভোটের আগে বিজেপির থেকে এলাকায় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে টিটাগড় থানার পুলিশ।
কিন্তু শাসকদলের এই অভিযোগ মানতে নারাজ বারকপুর সাংগঠনিক জেলার সদস্য আবিষ্কার ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “বিজেপীর নাম জড়ানো একটি রোগে পরিণত হয়েছে। এটি তৃণমূলের নিজেদের ঝামেলা”।
এই সপ্তাহের (PDF) কাগজ দেখার জন্য এই নিচের লিংকে ক্লিক করুন...
গত লোক সভা নির্বাচনের পর থেকেই বারবার অশান্ত হয়েছে ভাটপাড়া, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া-সহ সমগ্র ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। বারবার পুলিশ কমিশনার বদলেও লাভ হয়নি। এমনকি পরিস্থিতি জোরাল হয় যে, ভাটপাড়া থানা উদ্বোধন করতে যাওয়ার পথে হিংসার ঘটনার খবর পেয়ে সেবার ডানলপ থেকেই কনভয় ঘুরিয়ে ফিরে এসেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র।
প্রসঙ্গত উনিশের সময় থেকে গেরুয়া গড় হয়ে যাওয়া ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে একুশের ভোটে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। একমাত্র ভাটপাড়া আসন ছাড়া সব আসনে জিতেছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু স্থানীয়দের প্রশ্ন একটাই, রাজনৈতিক শক্তির অদলবদল তো হচ্ছেই, কিন্তু ব্যারাকপুর শান্ত হচ্ছে কই!