বিফলে গেল শান্তিপূর্ণ ভোটের চেষ্টা! ১০৮ টি পুরসভায় দিকে দিকে অশান্তি

Attempts-to-hold-a-peaceful-vote-failed-Unrest-in-107-municipalities


প্রতিনিধি : শান্তিপূর্ণ ভোটের চেষ্টা চালালেও শান্ত নেই কোনো রাজনৈতিক দল। ১০৮ পুরসভায় মোট ২২৭৬ টি বুথ রয়েছে। কোথাও মারপিট কোথাও বা ইভিএম মেশিন ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ আবার কোথাও সাংবাদিকদের উপর হামলার চিত্র উঠে এসেছে।

কোন্নগর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে পথ অবরোধে নামেন বিজেপি কর্মীরা। বহরমপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টদের বুথে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পুরভোটে রাজপুর-সোনারপুরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম এজেন্ট এবং কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। 

আরও পড়ুন-- ভোটের ছবি তুলতে গিয়ে প্রহৃত সাংবাদিক

এদিকে  ৩টি ইভিএম মেশিন ভেঙে দেওয়ারও খবর এসেছে। ইভিএম ভাঙার ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। আবার বারাসতের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শ্যামলী দাসকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনাতেও রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন

বসিরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪১ নম্বর বুথে ভাঙা হয়েছে ইভিএম। অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী সুজয় চন্দ্র ইভিএম ভাঙচুর করেন। যদিও সুজয়বাবুর সাফাই, সকাল থেকেই বসিরহাট পুরসভার ২, ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ দখল করেছেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তার প্রতিবাদ জানাতেই ইভিএম ভেঙেছেন তিনি।

আরও পড়ুন-- বনগাঁর পৌরভোটে ভোট লুটের আশঙ্কা বিরোধী থেকে শুরু করে শাসক দলের

আবার, দমদমের ৩১ নং ওয়ার্ডে স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আবার মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর পুরসভার অন্তর্গত একাধিক বুথে কংগ্রেস প্রার্থীর এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বুথে বুথে ঘুরে এজেন্ট বসাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। 

সিপিএম প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ, ভোটারদেরও ভোট না দিতে দেওয়ার অভিযোগ। আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও। ভাঙা হল ক্যামেরা। উত্তরবঙ্গেও একই দৃশ্য ,কোচবিহার পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মহারানি ইন্দিরা দেবী হাইস্কুলে ১৭৯ বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুয়ো এজেন্ট বসানোর অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন-- বনগাঁর একাধিক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ

জলপাইগুড়ি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী নারায়ণ সরকারকে ১২/২ নম্বর বুথে থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বুথ এজেন্ট থাকা সত্ত্বেও বুথের ভিতর দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছিলেন তিনি। এই নিয়ে জলপাইগুড়ি পুলিশের সদর ডিএসপি সমীর পালের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় কংগ্রেস প্রার্থীর। পরে প্রার্থীকে ধাক্কা মেরে বুথ থেকে বের করে দেয় পুলিশ।

Post a Comment

Previous Post Next Post