সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : জট কাটলেও মেলেনি কোনো সুহারা এশিয়ার বৃহত্তম বন্দর উত্তর ২৪ পরগণার পেট্রাপোলে। বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশনের কর্মীদের পেট্রাপোল পার্কিং এ ঢুকতে বাঁধা দেওয়ায় গত সপ্তাহে প্রায় ২ দিন বন্ধ ছিল পেট্রাপোল বেনাপোলের রপ্তানি বানিজ্য। অবশেষে বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তারা এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ মিলিত হয়ে বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশনের সাথে কথা বলে ফের শুরু হয় রপ্তানি বানিজ্য।
কিন্তু ফের সোমবার সকাল থেকেই বিএসএফের আধিকারিকরা পেট্রাপোল পার্কিং এ ঢুকতে বাঁধা দেয় এমনই অভিযোগ স্থানীয় কর্মীদের। আমদানি রপ্তানি বানিজ্য স্বাভাবিক ভাবে চললেও, হঠাৎ করেই পার্কিং এ প্রবেশ করতে যাওয়া এক ট্রাক ড্রাইভারের সাথে বচসা শুরু হয় বিএসএফ আধিকারিকের। পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান আধিকারিকের গাড়ি থামিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। অবশেষে বিএসএফ, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ড্রাইভার থেকে শুরু করে স্থানীয় কর্মীদের আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ফের কাজ শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রায় ১০০ জন ট্রাক চালকের জাল লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত হয়। পাশাপাশি চালক ও পরিবহণ কর্মীদের একাংশের চোরাচালানের কাজে যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলায় কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় স্থলবন্দর কতৃপক্ষ। সরকারি পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে স্থলবন্দরে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। এর জেরে পরিবহণ কর্মীরা আন্দোলন শুরু করেন। ফলে গত সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধও থাকে, কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে ফের বন্ধ হতে পারে গোটা বানিজ্য।