প্রতিনিধি : বর্ষবরণের শুরুর পরেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা হল আংশিক লকডাউন। আর তার মাঝেই পৌষ মাসের শতাব্দীপ্রাচীন বনগায় সাতভাই কালিতলা পৌষ মাসের মায়ের পুজো কে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হওয়া পৌষ মেলার উৎসব বন্ধ রাখা হয়েছে।
অতি প্রাচীন বাংলার পৌষ উৎসব মানেই বিখ্যাত বনগাঁর সাতভাই কালিতলা মায়ের পুজো। শতাব্দীপ্রাচীন এই পূজাকে কেন্দ্র করে রয়েছে বহু মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির যে রে সরকারি নির্দেশে মায়ের মন্দির চত্বরে পুজো বন্ধ রাখা হয়েছে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে।
বনগাঁ পৌরসভার উদ্যোগে চালু হলো ই-রিক্সা অ্যাম্বুলেন্স
পৌষ মাসে মা কালীর পুজো কে কেন্দ্র করে সাতভাই কালিতলা প্রাঙ্গণে যে মেলা সংঘটিত হতো সেই মেলায় পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে এর মায়ের ভক্তরা ভিড় জমান। যেহেতু জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাই স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকেও মেলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুজো আয়োজক কমিটিকে।
এ বিষয়ে মেলা কমিটির সম্পাদক প্রকাশক চক্রবর্তী বলেন, কথিত আছে বহুকাল আগে পুরাতন বনগাঁর এই এলাকায় সাত ভাইয়েরা বাস করতেন আর তারাই মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পূজার সূচনা করেছিলেন। ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে মায়ের এই মন্দিরে পুজো দিয়ে তবেই নিজেদের কাজে বের করতেন তারা।সেই সাত ভাইয়ের নাম অনুসারে এই কালী মন্দিরের নাম হয়েছে সাত ভাই কালী মন্দির।
প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেনে দাবিতে ঠাকুরনগরের রেল অবরোধ ফুল ব্যবসায়ীদের
স্থানীয় সূত্রের খবর এই মন্দিরের মা খুবই জাগ্রত, মায়ের কাছে ভক্তরা চাচানামা ভক্তদের সেই মনোবাসনা পূর্ণ করেন তাই দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্তরা এই মেলার সময় মায়ের দর্শন এর জন্য আসেন।পৌষ মেলা ও মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সহমত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তারা জানান, করণা সংক্রমণ রুখতে সরকারি নির্দেশমতে মায়ের মন্দিরে পুজো বন্ধ রাখা হয়েছে এবং তার পাশাপাশি প্রতিবছরের ন্যায় হওয়া পৌষ মেলা ও বন্ধ রাখা হবে। মায়ের কাছে তাদের একটাই অনুরোধ যাতে এই করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে আবার আগের অবস্থা যেন আবার ফিরে আসে।
স্থানীয় মানুষদের এবং দূর দূরান্ত থেকে মেলায় আসা ভক্তদের মেরা কমিটির পক্ষ থেকে প্রচার চালিয়ে মেলা বন্ধের কথা জানানো হয়েছে। কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সুভাষ শীল সরকারি নির্দেশে হওয়া এই সিদ্ধান্তকে সহমত জানিয়েছেন।