প্রতিনিধি : দেশ থেকে শুরু করে গোটা রাজ্যে করোনা বাড়ছে দ্রুত গতিতে। যার জেরে রাজ্যে জারি হয়েছে আংশিক লকডাউন। এই পরিস্থিতি সামলাতে প্রতিটা মেলা অনুষ্ঠান যেখানে বন্ধ করতে হয়েছে সেখানে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে গঙ্গাসাগরের মেলা নিয়ে।
করোনা পরিস্থিতি সামলাতে এই বছর গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখা উচিত। উক্ত এই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডল। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে বিচারপতি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)-এর কাছে জানতে চান, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কী চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি বিচারপতি জানান, মেলা বন্ধ হবে কি না সেই বিষয়ে আদালতকে জানাতে হবে।
বৃহস্পতিবার শুনানির শুরুতেই রাজ্যের এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘গঙ্গাসাগরে আসা প্রত্যেকটি পুণ্যার্থীদের জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছে। ই-স্নান এবং ই-দর্শন করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানা হচ্ছে কোভিড বিধি। টিকাকাকরণ হয়ে গিয়েছে বেশির ভাগের। এবার ৫ লক্ষের বেশি হবে না পূণ্যার্থী সমাগম হবে না।’’
প্রসঙ্গত, মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানান, ‘‘রাজ্য সরকার কলকাতা কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব বন্ধ করে দিয়েছে শুধুমাত্র ৪ জন কোভিড পজিটিভ হয়েছে বলে। একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। টিকাকাকরণ করে সংক্রমণ আটকানো যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি মেলার ব্যবস্থাপনা করে কী ভাবে সংক্রমণ আটকানো যাবে। চারধাম যাত্রা বন্ধ করে দিয়েছিল উত্তরাখন্ড হাই কোর্ট। যদি চলচ্চিত্র উৎসব বন্ধ করা হয়। তবে গঙ্গাসাগর মেলাও বন্ধ করা উচিত।’’
উল্লেখ্য, ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর’স ফোরাম-এর পক্ষ থেকে আইনজীবী আদালতে জানান, সাগরে যে হাসপাতাল রয়েছে তাতে মাত্র ১১ জন চিকিৎসক রয়েছেন। সমস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। বেশির ভাগ চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।