স্কুল ছুট দের কাছে পরীক্ষা দিতে আসার অনুরোধ নিয়ে হাজির শিক্ষকরা

The-teachers-appeared-with-a-request-to-come-to-the-school-to-give-exams


রিয়া গিরি : করোনা মহামারী শুরু হবার পর থেকে পেটের টানে হোক কিংবা অন্য কোনো কারণে অনেকেই পড়াশুনা থেকে অবসর নিয়েছে। কেউ কেউ  কাজে যুক্ত হয়েছে পরিবারের সংসার চালানোর দায়িত্ব নিয়ে। আবার কেউ কেউ পড়াশোনা থেকে কোনো কারণ ছাড়াই অবসর নিয়ে নিয়েছে। তাই তাদের কাছে স্কুল ফিরে আসার কাতর অনুরোধ নিয়ে হাজির পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম এর কয়রাপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ এর প্রধান শিক্ষক ও সহ  শিক্ষকরা।

কোভিড সংক্রমণে শিশুদের তালিকায় সর্বোচ্চে আমেরিকা

পূর্ব বর্ধমানের কয়রাপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ এর প্রধান শিক্ষক সতীনাথ গোস্বামী ও তারসহ শিক্ষকরা আউসগ্রাম এর কয়েকটি গ্রামে স্কুলছাত্রদের বাড়ি ঘুরে দেখেন। অনেকেই মাধ্যমিক ছাত্র টেস্ট পরীক্ষা দিতে যায়নি তাই অভিভাবকদের কাছে এসে অনুরোধ করে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার কথা বলেন।

 

The-teachers-appeared-with-a-request-to-come-to-the-school-to-give-exams

এমনকি তাদের বই-খাতা খরচসহ পড়াশুনার যাবতীয় খরচ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা নেবেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক মহাশয়। শিক্ষকরা খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারে কেউ কেউ মাঠে ধান কাটার কাজে লেগে গেছে আবার কেউ কেউ কাজের উদ্দেশ্যে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন। শিক্ষকরা এক ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় ওই ছাত্র গরুর খাবারের জন্য শুকনো খড় কাটছে। সেই ছাত্রকে প্রধান শিক্ষক মহাশয় স্কুলে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

বিজেপি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছেন রূপা! জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

আউসগ্রাম এর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রাম মিলে প্রায় সাড়ে ৫০০ ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনো করে কয়রাপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠে। তাদের মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে উপস্থিত হয়েছিল ৮৩ জন ছাত্র-ছাত্রী। বাকিরা পরীক্ষা দিতে বসেনি।

প্রধান শিক্ষক সতীনাথবাবু বলেন চারদিনের দিনমজুরের টাকা টাও স্কুলের তরফ থেকে দেওয়া হবে। এছাড়াও সমস্ত বই খাতা সহ পরীক্ষার ফী নেওয়া হবে না বিদ্যালয় তরফ থেকে। আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত স্কুলের এক শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে আদিবাসী ভাষায় কথা বলে স্কুলে ফেরানোর অনুরোধ জানান।

Post a Comment

Previous Post Next Post