অম্লিতা দাস: ভুয়ো সেন্টারের ভণিতা। এমন ভুয়ো ঘটনার সম্মুখীন হল সোদপুর। চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ টাকার জালিয়াতি ধরা পড়ল পুলিশের হাতে।
নারী পুরুষ নির্বিশেষে ধরা পড়ল ভুয়ো জল বোনায়। প্রসঙ্গত,বেশ কিছুদিন আগে থেকেই পানিহাটি আর এন টেগর রোডে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বসলেন বেশ কিছু যুবক। বাড়ির মালিকের কথা অনুযায়ী, হাসপাতালে আয়ার খোঁজ দেওয়ার সেন্টার খোলার কথা বলেছিলেন তারা। আর তাই এই ভুয়ো কল সেন্টার সম্পর্কে তাদের কিছুই জানা নেই।বেশ কিছু অচেনা লোকের আসা যাওয়া দেখেই পাড়ার লোকেরা এই সেন্টার তোলার দাবি জানিয়েছিলেন বাড়ির মালিকের কাছে। মালিক ধৃতদের কিছু smy দেওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেন। বাড়ির মালিকদের কাছে সেই সেন্টারের চাবি থাকলেও সেখানে বাইরের লোকদের সেন্টারে আসতে দিতে বারন করে রেখেছিল ধৃতরা।
পাড়ার লোকজনের মন্তব্য, দুই তিনজন নিয়ে সেন্টার চলার কথা বলা হলেও দুর দুরন্ত থেকে মানুষ এসে পড়তেন সেই ভুয়ো ঠিকানায়। একের পর টাকা দিয়ে যেতেন চাকরির আশায়। কখনও ভালো ব্যাংকের চাকরির জন্য আবার কখনও নিজের পদ থেকে আরও উন্নত পদে উন্নীত হওয়ার আশায়। টাকা ক্রমাগত দিয়ে গেলেও ফল শুন্য। এভাবে ঠকতে ঠকতেই কোনো ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ জানান এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন খড়দাহ পুলিশ। পাড়ার এক ব্যাক্তি কমল পালের বক্তব্য,আরও বড় গ্যাং আছে এদের যাদের মধ্যে কিছুজন এখানে কাজ করছিলো। শুরু থেকেই একাধিক ভুয়ো তকমা দিয়ে গেছেন তারা। বিশিষ্ট সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মত ভুয়ো বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিল ধৃতরা।
তল্লাশি এখনও শেষ হয়নি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উক্ত ঘটনায় সাতজন কর্মীকে গ্রেফতার করতে পারলেও বাকিদের খোঁজ ও তদন্ত চালাচ্ছেন পুলিশ।