ঈশিতা সাহা : হিন্দি ভাষীদের জন্য 'ভাইদুজ', বাঙালিদের 'ভাইফোঁটা', মহারাষ্ট্রে 'ভৌ বিজ', দক্ষিণ ভারতে 'যমদ্বিতীয়া' এবং নেপাল ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে 'ভাইটিকা' নামে পরিচিত। দিপাবলীর একদিন পর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয় ভাইফোঁটা উৎসব।
আরও পড়ুন- কেদারনাথে শঙ্করাচার্যের মূর্তি উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী
হিন্দু গ্রন্থ মতে, মহাভারতে বর্ণিত আছে যে, নরকাসুর নামে দানবকে বধ করার পর দ্বারকায় ফেরেন কৃষ্ণ। দাদার আগমনে সুভদ্রা বিশেষ পূজা করেছিলেন। কৃষ্ণর কপালে পুজোর তিলক কেটে স্বাগত জানিয়েছিলেন। সেই থেকে এই ভাইফোঁটা চালু হয়েছে। ভাইয়ের মঙ্গলের জন্য বোনেরা কপালে তিলক কেটে এই উত্সব পালন করেন।
আরও পড়ুন- ভেঙ্গে পড়লেন দিদি- 'সুব্রত দা'র মৃত্যু আমার কাছে সবথেকে বড় দুর্যোগ'
আবার পৌরাণিক কাহিনী থেকে জানা যায়, মৃত্যুর দেবতা যম তাঁর বোন যমুনার বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষার্থে গিয়েছিলেন। কার্তিক মাসের দ্বিতীয় তিথিতে শুভ ক্ষণে দাদার কপালে তিলক কেটে তাঁকে আরতি করে ঘরে স্বাগত জানিয়েছিলেন। সেই থেকে শুরু হয়েছে ভাইফোঁটা। তবে একাধিক কাহিনী বর্ণিত হলেও ভাইয়ের সুরক্ষা ও মঙ্গল কামনার স্বার্থেই মূলত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচলিত উৎসব ভাইফোঁটা।
আরও পড়ুন- Subrata Mukhopadhyay : প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে
এই বছর শনিবার মানে ৬ নভেম্বর ভাইফোঁটার উত্সবের দিন। এই দিন দ্বিতীয়া শুরু হচ্ছে ৫ নভেম্বর রাত ১১টা ১৪ মিনিটে। আর দ্বিতীয়া শেষ হচ্ছে ৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪৪ মিনিটে। পঞ্জিকা মতে, ফোঁটা দেওয়ার শুভ সময় হল দুপুর ১টা ১০ মিনিট থেকে ৩টে ২১ মিনিট সময়ের মধ্যে।