ঈশিতা সাহা : গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা সামান্য কমেছে। কিন্তু করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক করোনা সংক্রমণ কমে হয়েছিল ৭২। এর ঠিক এক মাস বাদে, দুর্গাপুজোর পরে ২৭ অক্টোবর জেলায় দৈনিক সংক্রমণ দেড়শো ছাড়ায়।১ নভেম্বর কমে তা হয় ৯৪। গত বুধবার ফের তা দেড়শ ছাড়ায়।
দি জঙ্গিপুর ট্রায়ালেই অভিনয়ে হাতে খড়ি শতাব্দি কন্যার
এদিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১০ জন। এই সময়ে মারা গিয়েছেন ২৭ জন। এর আগের মাসের শেষ সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। ফলে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর সম্ভাবনা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে স্বাস্থ্য মহলে। তবে মানুষকেই বেপরোয়া সর্তকতা লংঘন করার দাম চোকাতে হবে বলে অনুমান স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের।
টালিগঞ্জের বাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ
প্রসঙ্গত,কালীপুজোর দিনগুলিতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে বারাসত, মধ্যমগ্রাম, হাবড়া, মছলন্দপুর, বাগদা, গাইঘাটা, বসিরহাট, ব্যারাকপুর-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। বেশিরভাগেরই মাস্ক ছিল না। একই ছবি দেখা গিয়েছে ছট পূজাকে কেন্দ্র করে।বিভিন্ন এলাকায় জলসা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিচিত্রানুষ্ঠান, ফুটবল প্রতিযোগিতা, রাজনৈতিক সমাবেশের আয়োজন হচ্ছে। মানুষ ভিড় করছেন। বাইরে কেনাকাটা করতে গিয়ে মাক্স করছেন না কেউ। সকালের সবজি বাজারে বিধি দূরত্ব মানছেন না যুবক-বয়স্করাও।
'বাংলাকে বাংলাদেশ বলে মনে করছেন' রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
সুব্রত মণ্ডল বলেন, ''এখন যাঁদের করোনায় মৃত্যু হচ্ছে, তাঁদের বেশিরভাগই বয়স্ক। এঁদের মধ্যে অনেকেরই অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা রয়েছে বা ক্যানসারে ভুগছিলেন।''তবে আশঙ্কা,সর্তকতা নিয়ে সচেতন না হলে কখনোই পুরোপুরি ভাবে করোণাকে কাটিয়ে উঠতে পারবেনা দেশ।