ওয়েব ডেস্ক : চন্দ্রগ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনা কিন্তু এটি ধর্ম-জ্যোতিষশাস্ত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। আজ, ১৯ নভেম্বর, ২০২১, শুক্রবার সকাল ১১:৩৪ টা থেকে বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই গ্রহণ সন্ধ্যা ০৫:৫৯ পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এই শতাব্দীর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। আজ থেকে ৫৮০ বছর আগে এত দীর্ঘ আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল।
আরও পড়ুন- স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যাওয়ায় স্বামীর জেল! জেনে নিন এই আজব আইনের দেশ সম্পর্কে
ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রে চন্দ্রগ্রহণকে অশুভ মনে করা হয়, তাই গ্রহনকালে খাওয়া, পান করা, শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ। সেই সঙ্গে যেসব রাশির জাতক জাতিকাদের ওপর গ্রহনের নেতিবাচক প্রভাব বেশি তাদের এই সময়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই চন্দ্রগ্রহণ বৃষ ও কৃত্তিকা নক্ষত্রে ঘটছে, তাই বৃষ রাশির সাথে সূর্যের মালিকানা সিংহ রাশির জাতকদের জন্য এই চন্দ্রগ্রহণ অশুভ।
ধর্মগ্রন্থে যেমন গ্রহনকালে মেনে চলার জন্য কিছু নিয়ম বলা হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে গ্রহণ করার জন্যও কিছু নিয়ম দেওয়া হয়েছে। এই কাজটি করলে গ্রহন শেষ হওয়ার সাথে সাথে গ্রহনের অশুভ প্রভাব কমে যায়। অতএব, আপনি যদি চন্দ্রগ্রহণের কারণে আপনার উপর অশুভ প্রভাব এড়াতে চান তবে এই কাজটি করুন চন্দ্রগ্রহণের পরে।
-সূর্যগ্রহণের পর স্নান করুন। এতে গঙ্গাজল মেশাতে ভুলবেন না। গঙ্গার জল না থাকলে অন্য কোনও পবিত্র নদীর জলও মেশাতে পারেন।
-সূর্যগ্রহণের পর স্নান করার পর কাপড় পরিবর্তন করুন।
-সম্ভব হলে গ্রহনের পর বস্ত্র দান করুন। এটি আপনাকে ঝামেলা থেকে বাঁচায়।
আরও পড়ুন- যমজ সন্তানের মা হলেন প্রীতি জিন্টা
-গ্রহনের নেতিবাচকতা এড়াতে ঘরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন। পুরো বাড়িতে গঙ্গাজল ছিটাতে না পারলেও পূজার ঘরে অবশ্যই গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন।
-গ্রহন শেষে পূজাগৃহে প্রতিষ্ঠিত ভগবানকে গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করুন।
-গ্রহন শেষে গরুকে রুটি খাওয়ান। সম্ভব হলে যে কোন গরীবকেও খাওয়ান। এই কাজটি আপনাকে গ্রহনের ত্রুটি থেকে রক্ষা করবে।
(Disclaimer : এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। Sarbabhauma Samachar এই বিষয়ে নিশ্চিত নয়। যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)