ওয়েব ডেস্ক : ঘিতে কিছু জিনিস মিশিয়ে খেলে দ্বিগুণ উপকার পাবেন। দেশি ঘিকে পুষ্টিকর করতে এতে যোগ করুন প্রতিদিনের ব্যবহারে ব্যবহৃত কিছু বিশেষ জিনিস। আয়ুর্বেদ অনুসারে, ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ ঘি ওমেগা-৩, ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ, কে, ই সমৃদ্ধ। এতে ক্যালরি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং প্রোটিনও রয়েছে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং এটি আপনাকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে।
শরীরে প্রদাহ ও রক্তচাপ কমাতে রসুন খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়। এর জন্য একটি প্যানে কাটা রসুন ও সামান্য ঘি দিন। অল্প আঁচে ৪ থেকে ৫ মিনিট রান্না করুন। এটি ঢেকে কিছুক্ষণ প্যানে রেখে দিন। এতে রসুনের সব স্বাদ ঘি শুষে নেবে।
PAN Card : ১৮ বছর বয়সের আগেও প্যান কার্ড করা যায়! জেনে নিন কীভাবে
দারুচিনি : দারুচিনিতে অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি আপনাকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে ঘি খেলে ব্লাড সুগার কমে যায় এবং পেটের সমস্যা দূর হয়। দারুচিনি ঘি প্রস্তুত করতে একটি প্যানে ঘি দিন এবং তাতে দুটি দারুচিনির স্টিক দিন। মাঝারি আঁচে 4-5 মিনিট ঘি গরম করুন। কিছুক্ষণ পর খেয়ে নিন।
হলুদ : হার্ট ও কিডনির ভালো কার্যকারিতার জন্য হলুদের ব্যবহার উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি প্রাকৃতিকভাবে প্রদাহের চিকিৎসা করে শরীরের সব ধরনের ব্যথা কমাতে পারে। হলুদ ঘি বানাতে ১ কাপ ঘি একটি পাত্রে রাখুন। এতে 1 চা চামচ হলুদ এবং 1/2 চা চামচ কালো গোলমরিচ গুঁড়ো দিন। এই মিশ্রণটি একটি এয়ার টাইট জারে সংরক্ষণ করুন এবং প্রতিদিন ব্যবহার করুন।
কর্পূর : কর্পূর সেবনে বাত, পিত্ত ও কফ দোষের ভারসাম্য বজায় থাকে। এটি হজমশক্তিও ঠিক রাখে। এছাড়াও কর্পূর অন্ত্রের কৃমি, জ্বর এবং হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে। কর্পূর ঘি বানাতে ১-২ টুকরো কর্পূরের ঘি দিয়ে ৫ মিনিট গরম করুন। ঘি ঠান্ডা হতে দিন এবং তারপর একটি বায়ুরোধী পাত্রে ছেঁকে নিন। খেয়াল রাখতে হবে কর্পূর যুক্ত ঘিতে কর্পূরের গন্ধ আরও জোরালো হবে।
পুদিনা : বাড়িতে যদি মাখন থেকে ঘি তৈরি করা হয়, তবে ফুটন্ত মাখনে কয়েকটি তুলসী পাতা দিন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং রক্ত পরিশোধনেও সাহায্য করবে। ঘি এবং তুলসী চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি, ফ্লু, শ্বাসকষ্টের সমস্যা এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
(Disclaimer : এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এটি গ্রহণ করার আগে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। Sarbabhauma Samachar এই বিষয়ে নিশ্চিত নয়।)