প্রতিনিধি : চলতি মাসে পেট্রোল-ডিজেলের দাম নাকে দম করে রেখেছে সাধারণ মানুষের। প্রতিদিন নতুন করে বাড়ছিল অংকের হিসাব।একাধিক রাজ্যে ১১০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে পেট্রোলের দাম। ১০৫ টাকা ছুঁই ছুঁই ডিজেলও। যা নিয়ে একাধিকরাজ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়। তা যথাযথ আন্দাজও করতে পারেন মোদি সরকার।আর দিওয়ালীর সন্ধ্যাতে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ঘোষনা করেন, পেট্রোলে পাঁচ টাকা এবং ডিজেলে ১০ টাকা কমানোর কথা।
আরও পড়ুন- বাজি কিনে বাড়ি ফেরার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু বাবা ও ছেলের
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পরেই একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য এক ধাক্কায় ভ্যাট ছেড়ে দেওয়ার ঘোষনা করে। ফলে এক ধাক্কাতে অনেকটাই কমে যায় জ্বালানির দাম। কিন্তু বহু রাজ্য আছে যেখানে এখন দাম কমানো হয়নি। এদিকে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ভ্যাট ছেড়ে দিতে নারাজ।
আরও পড়ুন- মোবাইলের আলোয় চিকিৎসায় প্রাণ ফিরল রোগীর
এই বিষয়ে বাম সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, বর্তমানে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো নয়! সেইদিক নজরে রেখে কোন রকম কর ছাড় দেওয়া হবে না। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কংগ্রেসশাসিত রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাব বা বাম শাসিত কেরল এখনও পর্যন্ত পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর পক্ষে নয়।
আরও পড়ুন- আধার ফ্রাঞ্চাইজি খুলে শুরু করুন নিজের ব্যবসা, কিভাবে করবেন জানুন বিস্তারিত...
এ বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন কেরোল অর্থমন্ত্রী কে এন বাল গোপাল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের উন্নয়নের সঙ্গে কোনো আপস নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অর্থনৈতিক দিক চিন্তা করে কোনভাবেই ভ্যাট কমানো সম্ভব নয়। এমনকি মোদি সরকার কেউ নিশানা তার দাবি,কেন্দ্র অনেকখানি শুল্ক বাড়িয়ে এখন উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে নির্বাচনের আগে ৫-১০ টাকা শুল্ক কমিয়ে মুখ রক্ষা করছে। আসলে মোদী সরকার আমজনতার চোখে ধুলো দিতে চাইছেন।