সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : একের পর এক সাংবাদিক বৈঠক। বনগাঁয় তৃণমূল নেতৃত্বের একে অপরের প্রতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তোলপাড় গোটা রাজনৈতিক মহল। তবে তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে এবার জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ।
উল্লেখ্য, বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বনগাঁ তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দুই পক্ষ পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে পরস্পর, পরস্পরের বিরুদ্ধে তোপ দিতে ছাড়েননি। এই বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আলোরানী সরকার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, বিজেপি'র লোক না থাকায়, তৃণমূল দল ভারি হওয়ার কারনে নিজেদের মধ্যে একটূ লড়াই হয়। কিন্তু এরপর আর হবেনা। সবাইকে ডাকা হয়েছে, তাঁদের সাথে আলোচনা করে মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা করব। তবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ব্যাপারে আমি জানতাম না।
গোপাল শেঠ'কে "রিগিং মাস্টার" বলে কটাক্ষ শংকরের, পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন আজ
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে এবং তৃণমূলের পুরনো কর্মীদের মিটিং-মিছিলে আমন্ত্রণ করা হচ্ছে না। এই বিষয়ে জেলা সভাপতি আলোরানী সরকার বলেন, 'পার্টিতে ডাকতে হয় নাকি? যে কানে শুনবে তাকেই যেতে হবে। এটা কোনো অভিযোগ নয়, এটা ভিত্তিহীন কথা।'