রিয়া গিরি : প্রতিকূলতা কখনো আটকে রাখতে পারেনা মনের জেদ এবং ইচ্ছেকে। তারই সাক্ষী হয়ে দাঁড়ালো নবদ্বীপের রোহিত রায়। জন্ম থেকেই বিকলাঙ্গ। তবুও মনের জোরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের ক্লাস করতে হামাগুড়ি দিয়ে হাজির হলো সে।
চিংড়িঘাটায় বড়সড় দুর্ঘটনা, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু বাইক আরোহীর
ছাত্রের নাম রোহিত রায়। বাড়ি নবদ্বীপে। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ক্লাসের প্রথম দিনে মায়ের সাথে হাজির হল রোহিত। অচেনা জায়গায় নতুন বন্ধু বান্ধবদের সামনে মায়ের কোলে উঠে কাজ পর্যন্ত জিতে কিছুটা লজ্জা পাচ্ছিল তার। তাই প্রথমদিন সিঁড়ি ভেঙ্গে হামাগুড়ি দিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হয়েছিল রোহিত।
এলাকা দখল নিয়ে সংঘর্ষ দুই বৃহন্নলা গোষ্ঠীর মধ্যে
বাড়ির একমাত্র রোজকার বাবার হাত দিয়েই। বাবা পেশায় একজন মুদির দোকান চালান। পরিবারে আর্থিক অনটন থাকলেও রোহিতের মা রেবা দেবী ছেলেকে বাড়ির মধ্যে বসিয়ে রাখেননি। অন্যান্য ছেলে মেয়েদের মতই স্কুলে নিয়ে গেছেন এবং খেলার জন্য আমাকেও নিয়ে গেছেন রোহিতকে। রোহিত কৃষ্ণনগর গভমেন্ট কলেজ থেকে স্নাতককে পেয়েছেন ৭১% নম্বর । তারপরেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন জানায়।
বনগাঁ থানার কৃষ্ণচন্দ্রপুরে বাস দুর্ঘটনা
প্রথমদিন রোহিত যখন ক্লাস করছে বাইরে তখন রেবা দেবী গাছের তলায় বসে রয়েছেন। প্রথম দিনের ক্লাসের পর রোহিত বলে, "এম এ শেষ করে পিএইচডি করবো। শিক্ষক আমাকে হতেই হবে"। রোহিতের মনের ইচ্ছে বাকিদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়।