সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। বাগদা থেকে মৃতদেহ সৎকারে নিয়ে যাওয়ার পথে নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানা এলাকায় ট্রাক উল্টে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল ১৮ জনের। এছাড়াও আহতের সংখ্যা একাধিক। সূত্রে জানা গেছে, একই পরিবারের মোট ১৩ জন রয়েছে মৃতের তালিকায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার পারমাদন এলাকার বাসিন্দা সকলেই।
বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যানের অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি জেলার সভাপতির
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাগদার পারমাদন উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা গোপাল মুহুরীর স্ত্রী শিবানী মুহুরী (৭০) মারা যান বয়সজনিত কারণে। শিবানী দেবীর মৃতদেহ সৎকার করার জন্য পরিবার এবং স্থানীয় লোক মিলিয়ে মোট ২৭ জন একটী মিনি ট্রাক করে বাগদা থেকে নদীয়ার নবদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শনিবার রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ।
নদীয়ার হাঁসখালি থানার ফুলবাড়ি এলাকায় রাস্তার ধারে পাথর বোঝাই ট্রাকে ওই মিনি ট্রাকটি ধাক্কা মারে। সাথে সাথেই আরও একটি চলন্ত ট্রাক ওই মিনি ট্রাকটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে উল্টে যায় মিনি ট্রাকটি। স্থানীয়দের উদ্যোগে আহতদের কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনকে মৃত বলে ঘোষনা করেছেন চিকিৎসক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে ১ জন শিশু সহ ৭ জন মহিলা রয়েছে। আহতদের মধ্যে ১ জনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃতা শিবানী দেবীর পরিবারের যারা ওই মিনি ট্রাকে ছিলেন তাঁদের প্রত্যেকেই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে পারমাদন গ্রামে।