সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : সম্প্রতি বনগাঁয় একটি বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বনগাঁর প্রাক্তণ চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের তৃণমূলের প্রতি বিস্ফোরক বক্তব্যে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল। সেই বিস্ফোরক বক্তব্যের জেরে শংকর আঢ্যের প্রতি তীব্র নিন্দা করতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বনগাঁ শহর তৃণমূল নেতৃত্ব। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সন্দীপ দেবনাথ, শঙ্কর আঢ্যর মন্তব্যকে 'পাগলের প্রলাপ' বলে আখ্যায়িত করেন।
একদিনের প্রধানমন্ত্রী! সুইডেনের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বনগাঁয় একটি বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য জন সম্মুখে জানান, ২০১৫ সালে যে পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল, উপর মহলের রাজনৈতিক নেতৃত্বের চাপে পরে একপ্রকার অন্যায় পথ অবলম্বন করে, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী চক্রবর্তীকে জয়ী করিয়েছিলেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল সেই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বনগাঁ শহর তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে, বর্তমান পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ, প্রাক্তন পৌরমাতা কৃষ্ণা রায়, যুব কংগ্রেসের সভাপতি সন্দীপ দেবনাথ সহ উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলররা। সাংবাদিক বৈঠকে যুব কংগ্রেসের সভাপতি সন্দীপ দেবনাথ বলেন, ''আমরা সকলে নির্বাচিত হয়েছি। ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাইয়ের ছবি ও তৃণমূলের প্রতিক নিয়ে মানুষের কাছে আমরা ভোট চেয়েছিলাম যা পেয়েছি।''
বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি জানান, তিনি ও তাঁর স্ত্রী কিভাবে জিতেছিলেন সেই বিষয়ে আমরা সবাই অবগত। ওঁরা ওঁদের বুকে হাত রেখে ঠাকুরের সামনে বলুক, যে আমরা কিভাবে জিতেছি। প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে বাদ দিলে বনগাঁর মানুষ সব থেকে খুশি হবে। বনগাঁর মানুষকে একমাত্র বাঁচাতে পারে বনগাঁর মুখ্য পৌর প্রশাসক গোপাল শেঠ।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোরানী সরকার বলেন, অন্য মানুষকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। আমি সেই সময় ছিলাম না তাই বেশি কিছু বলছি না। আগামী দিনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তীর লোক দেখে প্রার্থী করা হবে। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে মৌসুমী চক্রবর্তীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিল পল্লব মিত্র। তিনি জানান, "যা রটে, তাঁর কিছুটা তো ঘটে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাইনা।"