ঈশিতা সাহা : সদ্যসমাপ্ত দুর্গাপূজায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয় বাংলাদেশের একাধিক মণ্ডপে। পূজা চলাকালীনই কোথাও ভাঙচুর চলে, কোথাও বা আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পুজো মিটে যাওয়ার পরেও রেহায় পায়নি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়। পীরগঞ্জ সহ একাধিক এলাকায় হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এমনকি খুনেরও খবর পাওয়া যায়।
যুবতীকে মদ খাইয়ে গণধর্ষণ, ধৃত ১
সকল হিন্দুদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। নৃশংস ঘটনায় বিশ্বের একাধিক দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সংখ্যালঘুদের প্রতি অত্যাচারের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের ৫৫ জন বাম রাজনীতির বিভিন্ন শিবিরভুক্ত সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় যৌথভাবে বিবৃতি দিয়েছেন।
বড় ঘোষণা করতে যাচ্ছে Facebook! পরিবর্তন হবে নাম। বিস্তারিত জানুন...
বাঙালির সর্বশেষ্ঠ পুজোয় ব্যাঘাত ঘটিয়ে হিন্দু ধর্মকে আঘাত হানার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংখ্যালঘুদের পাশে প্রাণপণে থাকার বার্তা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গও। স্বাক্ষরিত যৌথ বার্তায় নাম উঠেছে আবুল বাশার, লেখক আজিজুল হক, গবেষক সৌরভ হোসেন, ফারুক আহমেদ সহ ৫৫ জনের।
আজ থেকেই ফের নাইট কারফিউ জারি গোটা রাজ্যে
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতি অত্যাচারের প্রতিবাদী বার্তায় তারা জানিয়েছেন, পূজার পর থেকে বাংলাদেশের বহু জায়গায় মন্ডপ ভেঙে ফেলা হয়েছে, আগুন দেওয়া হয়েছে, ভয় দেখানো হয়েছে এমনকি খুনও করা হয়েছে। এই আক্রমণ শুধু ঘৃণ্য নয়। বরং সভ্যতার পরিপন্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনই সময় সকলকে একজোট ভাবে এই আক্রমণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার।
ফের বোমাবাজির ঘটনায় স্তব্ধ ভাটপাড়া
সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটা শুধুমাত্র দায় নয়- কর্তব্য। পাশাপাশী একত্রীকরণের ডাক দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবি মানুষদেরও। রাষ্ট্রব্যবস্থা নিক। অবিলম্বে এই হিংস্রতা বন্ধ হোক। সকলকে শান্তিতে বসবাস ও জীবন নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।