অম্লিতা দাস: নাম ওঠার পরেও ভর্তিতে মানা। বিক্ষোভে ঘিরে ধরল পড়ুয়াদের একাংশ। যোগমায়া দেবী কলেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল পড়ুয়ারা। মেধা তালিকায় নাম ওঠার পরে তারা অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার এসএমএস আসে কলেজের পক্ষ থেকে। অথচ টাকা জমা দিতে গেলেই কলেজ থেকেই প্রত্যাহার করা হয় তাদের। জানানো হয় ভর্তির নেওয়ার জন্য আসন আর ফাঁকা নেই।
দক্ষিণ কলকাতার ওই কলেজে শুরু হয় বিভ্রান্তি। বিক্ষোভে সামিল হয় পড়ুয়াদের সাথেই তাদের অভিভাবকরাও। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ভবানীপুর থানার পুলিশ। ওই কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক পূর্বা ঘোষের মতে, পড়ুয়াদের জানানো হয়েছিল ভর্তি নেওয়া হবে, শনিবার বিকেল চারটে পর্যন্তই, ফলেই পরবর্তীতে জানানো হয় আসন আর খালি নেই।
কলেজের অধ্যক্ষা শ্রাবনী সরকারের মতে, প্রতি বছরের তুলনায় এই বছরে ভর্তির পড়ুয়া সংখ্যা অধিক। সকলেই ভর্তি হতে চাইছে। যার জন্যই খুব কম সময়ের মধ্যেই আসন সমস্ত পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। পড়ুয়ারা অভিযোগে জানিয়েছেন, অধ্যক্ষা বা পরিচালন সমিতির সদস্যদের না জানিয়েই যারা আগে আসছে তাদের আগে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন অধ্যক্ষা তিনি জানান, বেশ কিছু বিষয়েই ভর্তির চাহিদা রয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে আসন বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। সেটা সম্ভব হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
শুধুই ভর্তির ক্ষেত্রেই নয়, চূড়ান্ত সেমিস্টার, দ্বিতীয়,চতুর্থ সেমিস্টারের সাপ্লি পরীক্ষা দেওয়া পড়ুয়ারাও তাদের পরীক্ষার ফল প্রকাশ সহ একাধিক দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ইউনিটি। উপাচার্যের মতে, কলেজগুলি যত তাড়াতাড়ি নম্বর জমা দিতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়ও তত তাড়াতাড়ি ফলপ্রকাশ করতে পারবে।