ঈশিতা সাহা : চলতি বছরেও প্রতিবারের মতোই শুক্রবার অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো। শিল্প-কারিগরির দেবতা হলেন বিশ্বকর্মা। অন্যান্য দেব দেবীর পুজো তিথি, গ্রহ নিরিখে ভিন্ন ভিন্ন দিনে পড়লেও, বিশ্বকর্মার পুজো কী কারণে ১৭ ই সেপ্টেম্বরেই হয়?
আফগানিস্তানে পুষ্টিহীনতায় মৃত্যু হতে পারে ১০ লক্ষ শিশুর; আগাম সর্তকতা ইউনিসেফের
কৌতুহলের আসল কারণটা হলো, হিন্দু ধর্মের সমস্ত দেব দেবীর পুজো হয় চন্দ্রের গতিবিধি মেনে। কিন্তু শুধুমাত্র বিশ্বকর্মার পুজো হয় সূর্যের গতি প্রকৃতির ওপর। এই সময় সূর্য যখন সিংহ রাশি থেকে কন্যা রাশিতে গমন করে তখন হয় উত্তরায়ন। এই সময় দেবতারা তাদের নিদ্রা থেকে জেগে ওঠেন। এই বিশেষ দিনটি হলো ভারতীয় সৌর বর্ষপঞ্জি ও বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসের শেষ দিন। এই ভাদ্র সংক্রান্তির আগেই বাংলা পঞ্জিকাতে ১৫৬ দিন অর্থাৎ পাঁচ মাসের উল্লেখ থাকে। তাই বিশ্বকর্মা পূজার বাংলা তারিখটি ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৭ সেপ্টেম্বর পরে।সে কারণেই একই দিনে প্রত্যেক বছর দেবশিল্প বিশ্বকর্মার আরাধনা হয়।
শ্রীলঙ্কা সফরে এক ভারতীয় ক্রিকেটারের বয়স নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন দ্রাবিড়!
তবে চার হাত ও হাতি বাহনকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বকর্মার এই রূপ ছাড়াও তিনি পূজিত হন তারুণ্যের প্রতীক রূপে। আবার কোথাও ' বৃদ্ধ' বিশ্বকর্মা পুজো হয়। তবে যে রূপেই হোক না কেন ১৭ তারিখেই এই দেবতার আরাধনা হয় সর্বত্র। তবে যদি বাংলা পঞ্জিকায় পাঁচ মাসে ২৯ কিংবা ৩২ দিন থাকে কোন মাসে তখনই একমাত্র পুজোর তারিখের হেরফের হয়। এক বা দু বছর ১৮ তারিখ হয়েছিল। তবে তা একাবরেই ব্যাতিক্রম ঘটনা।
নিখোঁজ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
উল্লেখ্য, হিন্দু শাস্ত্রের মতে স্বর্গ নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বকর্মা। তার জ্ঞান অগাধ, অপরিসীম। ঋকবেদে বিশ্বকর্মাকে সর্বজ্ঞ ও সর্বদর্শী বলা হয়। উন্নত ভবিষ্যৎ, কর্মক্ষেত্রে সফলতা, কারখানা উন্নয়ন পাশাপাশি নিজের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এই দেবের আরাধনা করা হয়।