বিরোধী দলনেতাকে চ্যালা কাঠ দিয়ে মারধোর করে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে

Trinamool-accused-of-killing-BJP-leader


সোমনাথ দাস : এক বিজেপি নেতাকে মারধর করে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোপালনগর থানার নহাটার সাতাশিপাড়া এলাকায়। মৃত ওই বিজেপি নেতার নাম অরুণ কুমার সরকার (৫৬) ওরফে সুজয়। তিনি দিঘাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা ছিলেন।

দুই ই-রিক্সা ইউনিয়নের অশান্তি নিয়ে চরম শোরগোল বনগাঁয়, অবরুদ্ধ বাটা মোড়

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩১ আগস্ট গোপালনগর থানার চৌবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটি ছিল। সেখানে অন্যান্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দিঘাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা অরুণ বাবুও উপস্থিত ছিলেন। এদিন ভোটগ্রহন পর্বকে কেন্দ্র করে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও তৃণমূল এবং বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

হোটেলের বিল ২৫ লাখ ! মেটাতে না পেরে তিন তারা হোটেলের জানলা দিয়ে পালালেন অতিথি

বিজেপি'র কর্মী- সমর্থকদের অভিযোগ, সেদিন ভোটাভুটি শেষ বিকেলে অরুণ বাবু নহাটা বাজার এলাকায় তার নিজের বাড়িতে যাওয়ার সময় তৃণমূলের একাধিক স্থানীয় নেতা তাঁকে চ্যালা কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারধোর করে। এরপর অসুস্থ অবস্থায় তাকে পাল্লা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় বিজেপি কর্মীরা। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।



জানা যায়, তারপর থেকেই বাড়িতেই অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন অরুণ বাবু। শনিবার ভোররাতে হঠাৎ তার বুকে পিঠে যন্ত্রণা শুরু হলে পরিবারের লোকেরা তাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথেই তার মৃত্যু হয়। বিজেপি'র কর্মী- সমর্থকদের দাবি, মারধরের কারণে ইন্টার্নাল হেমারেজ হয় অরুণবাবুর, আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে তার। গোপালনগর থানার পুলিশ দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

গোপালনগর ২ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি নিশীথ চন্দ্র বালা বলেন, "যে কোনো মৃত্যুই দুঃখজনক। পুলিশ ময়না তদন্ত করে দেখুক এটা খুন হয়েছে কিনা।"

Post a Comment

Previous Post Next Post