সোমনাথ দাস : বাড়ি বিক্রয় করতে গিয়ে প্রতারকের ফাঁদে পড়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়া গেল এক বৃদ্ধের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁর পুরনো চাকদা বাসস্ট্যান্ডে এলাকায়।
পর্ণগ্রাফি দর্শকদের তালিকায় সবার ওপরে তালিবানরা
জানা গিয়েছে, প্রতারিত শ্যামসুন্দর কুন্ডু নামে ওই বৃদ্ধ নিজের বাড়ি বিক্রি করবার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। গত মাসের শেষ দিকে দুই ব্যক্তি তার বাড়ি ক্রয়ের জন্য দেখতেও আসেন। এরপর তাদের সঙ্গে কথাবার্তা হওয়ার পরে বাড়ি ক্রয়ের জন্য আগ্রহ দেখায় প্রতারকেরা।
Indian Railway : তরুণদের জন্য সুখবর; টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে প্রার্থী নিয়োগ
চুক্তি অনুযায়ী প্রতারকেরা অগ্রীম বাবদ তিন লক্ষ টাকার একটি চেক দেয় শ্যামসুন্দর বাবুকে এবং পরবর্তীতে আরো টাকা দেওয়ার জন্য শ্যামসুন্দর বাবুর কাছ থেকে একটি ক্যানসেল চেক চেয়ে নেয় তারা। সে সময় তাদের পকেট থেকে নিজেদের পেন দিয়ে শ্যামসুন্দর বাবুকে ওই ক্যানসেল চেকে ক্যানসেল লিখে সই করতে বলেন তারা। সরল মনে শ্যামসুন্দর বাবু সইও করে দেন।
পড়ুয়াদের জন্য সুখবর! অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করেছে ট্যাবের ১০ হাজার টাকা
উক্ত ঘটনার দু-এক দিন পরেই স্টেট ব্যাংকের বনগাঁ শাখা থেকে চেক দিয়ে দু- লক্ষ আশি হাজার টাকার তোলার একটি মেসেজ আসে শ্যামসুন্দর বাবুর মোবাইল ফোনে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে কুন্ডু পরিবার। বনগাঁ স্টেট ব্যাংকের সঙ্গে কুন্ডু পরিবার যোগাযোগ করে। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করে বলে দাবি করছেন শ্যামসুন্দর বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে।যদিও পরবর্তীতে শ্যামসুন্দর কুন্ডু বনগাঁ থানার দ্বারস্থ হয় এবং শ্যামসুন্দর কুন্ডুর পক্ষ থেকে জবাব চেয়ে বনগাঁ স্টেট ব্যাংকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে তার আইনজীবী দীপাঞ্জয় দত্ত ।
দীর্ঘ চার মাস পর ফের অসম-বাংলা পথে যান চলাচল
শ্যামসুন্দর কুন্ডু দাবি করেন, "এই ঘটনায় ব্যাংকের গাফিলতি রয়েছে। আমার সাক্ষরে আমি "শ্রী" লিখি সেটা তারা জানলো কি করে। এত টাকার চেক ক্যাশ সবার আগে আমাদেরকে একবারও জানানো হয়নি। আমি চাই এর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে আমার সম্পূর্ণ টাকা যাতে ফেরত পাই তার ব্যবস্থা করুক।"
সাইকেল মিছিলের মাধ্যমে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন
এই বিষয়ে বনগাঁ কোর্টের আইনজীবী দীপাঞ্জয় দত্ত বলেন, "রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম আছে বড় অংকের টাকার চেক ক্যাশ হওয়ার আগে গ্রাহককে ইনফর্ম করা। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যাংকের তরফ থেকে তা করা হয়নি। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই ঘটনার কারণ জানতে চেয়ে আমার গ্রাহকের হয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিযনো হয়েছে। সঠিক সময়ের মধ্যে উপযুক্ত উত্তর না পেলে পরবর্তীতে ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।"
তবে এই বিষয়ে স্টেট ব্যাংক বনগাঁ শাঁখার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো রকম বক্তব্য দিতে রাজি হননি।