ঈশিতা সাহা: করোনা মহামারী শুধু মনুষ্যজাতকেই নয়, হয়রানি করেছ জীবপ্রজাতি কেউ। খিদার চাহিদা তো সকলেরই। আর সেই খাদ্য সংকটে ভুগছে এবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান এর তৃণভোজী প্রাণীরা। তৃণভোজী প্রাণী বিশেষ করে গন্ডারের সংখ্যা এই উদ্যানে ২৫০ টির বেশি। কিন্তু তাদের জন্য চলতি বছরে একটি ঘাসের বীজও বপন করা হয়নি। ফলে শুখা মরশুমে চরম খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে এই জাতীয় উদ্যানের প্রাণীকুল।
দুই ই-রিক্সা ইউনিয়নের অশান্তি নিয়ে চরম শোরগোল বনগাঁয়, অবরুদ্ধ বাটা মোড়
এই উদ্যানের আয়তন ২৫১ বর্গ কিলোমিটার যার প্রায় ৫০ শতাংশ তৃণভূমি। সূত্রে জানা গেছে, এবারে ঘাসের প্লান্টেশন না করার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক অভাব । প্রত্যেক বছর সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ঘাস লাগানোর সময়, তার আগেই রাজ্য বা কেন্দ্র সরকার থেকে কাজ বাবদ বনদপ্তরের হাতে টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা কালে এবছর কোন টাকা বরাদ্দ হয়নি। এমনকি বনের আগাছা পরিষ্কার করা হয়নি। যদিও বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন,'কোভিদের এর একটি কারণ যেমন রয়েছে, তেমনি অতিরিক্ত জল জমে থাকায় ঘাসের চালানো লাগানো সম্ভব হয়নি। তবে জল কমলেই ঘাস লাগানো হবে।'
হোটেলের বিল ২৫ লাখ ! মেটাতে না পেরে তিন তারা হোটেলের জানলা দিয়ে পালালেন অতিথি
এদিকে বনমন্ত্রীর এই কথায় বনকর্মীদের মধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিখ্যাত প্রাণী একশৃঙ্গ গন্ডার। এছাড়া এখানে প্রায় ৫ হাজার বাইসন, ৮ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ ও কয়েকশো হাতি রয়েছে। প্রত্যেক বছর এই বিপুল প্রজাতির জন্য নতুন করে ঘাসের চারা লাগানো হয় যাতে খাদ্যের অভাব না হয়। কিন্তু এই কাজে যে অর্থের প্রয়োজন তা বরাদ্দ হয়নি। সুতরাং এক প্রকার খাদ্য সংকটের মুখে এরা। তবে বনমন্ত্রীর আশ্বাস, জলস্তর কমলেই নতুনভাবে ঘাস লাগিয়ে এর ক্ষতিপূরণ করা হবে।