রিয়া গিরি : তালিবান অধিকৃত আফগানিস্তানে তালিবান শাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই তালিবানরা আশ্বাস দিয়েছিল তারা আর আগের মত নেই। তালিবানি শাসন শুরু করতে চলেছে নতুন নিয়ম দিয়েই।প্রথমদিকে অনেকেই তাদের কথা বিশ্বাস করে নিলেও পরে তালিবানদের কার্যকলাপে একটুও মনে হচ্ছে না তারা কিছুটা হলেও বদলেছে বলে। তালিবান শাসনে সবচেয়ে বেশি দুর্যোগের মুখে পড়তে হয়েছে মহিলাদের। একে একে করে মহিলাদের সব অধিকার থেকে দূরে রাখা হচ্ছে তালিবান শাসিত দেশে।
আচমকাই দুষ্কৃতীর গুলিতে স্তব্ধ বনগাঁ সুভাষ পল্লী এলাকা
দীর্ঘদিন ধরেই মহিলারা তালিবান শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালালেও এর কোনো সুরাহা মিলেনি। বরং দিন যাবত আরো অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে আফগানিস্তানের মহিলাদের। আফগানিস্তানের মহিলাদের শিক্ষার উপরে কয়েকটি ফরমান জারি করে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার অনুমতি দিলেও কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা ছাত্রীদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা করেছে।
জল জমা সড়কে যাত্রীসহ তলিয়ে গেল বাস
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন যুক্ত উপাচার্য জানান যতদিন পর্যন্ত দেশে যথার্থ ইসলামী আবহ তৈরি না হচ্ছে ততদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তিনি এখন মেয়েদের প্রবেশ করতে দিতে পারছেন না। দিন কয়েক আগে উপাচার্য করা তরুণ তালিবান পন্থী আশ্রফ ঘাইরাতকে ঠিক এমন মন্তব্য করতে শোনা গেল।
পাক জঙ্গির মুখেই পাকিস্তান সন্ত্রাসী চক্রান্তের ফাঁস!
এর আগে তালিবানি শাসন চলাকালীন ১৯৯৬ -২০০১ সাল পূর্বে শরীয়ত আইনের দোহাই দিয়ে মহিলাদের ঘর বন্দী করা হয়েছিল এবং জারি করা হয়েছিল তালিবানদের নানা ফরমান। কিন্তু নতুন করে তালিবানি শাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই তারা বারবার দাবি করেছিল তারা নতুন ফরমান জারি করে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না কিন্তু তা যে কতটা কার্যকরী হবে তার কোনো আশা দেখতে পাচ্ছেন না আফগান মহিলারা।