সোমনাথ দাস, বনগাঁ : গাইঘাটার ইছাপুর ১ নম্বর অঞ্চলের গাইঘাটা হাইস্কুলে ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। স্থানীয়দের দাবী, এদিন পঞ্চায়েতে টোকেন ছাড়া কাউকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না। তাই অনেকেই টোকেন ছাড়া ভ্যাকসিন নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। অথচ এবিষয়ে বিন্দু বিসর্গ জানেন না স্বয়ং পঞ্চায়েত প্রধান।
কাগজের তৈরি এক ফুট উচ্চতার দুর্গা প্রতিমা
এবিষয়ে ইছাপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শংকরী পাল বলেন, পঞ্চায়েত থেকে কোন টোকেন দেওয়া হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। এমনকি তিনি টোকেন সিস্টেম বিশ্বাসও করেন না। তিনি আরো বলেন, যে আগে আসবে সেই ভ্যাকসিন পাবে। কে বা কারা টোকেন দিচ্ছে আমার জানা নেই। টোকেনে পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সেখানে তিনি স্বাক্ষরও করেননি। আবার টোকেনে যার স্বাক্ষর ব্যবহার করা হচ্ছে তাও তিনি জানেন না।
শাড়িকে আনস্মার্ট পোশাক উল্লেখ করে রেস্তোরাঁয় ঢুকতে বাধা মহিলাকে
অন্যদিকে ইছাপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইসমাইল মন্ডল বলেন, তিনি টোকেন বিলি করেছেন। সে বিষয়ে প্রধানও জানেন। ভিড় কমানোর জন্যই এই টোকেন সিস্টেম করা হয়েছে।
গাইঘাটা বিধানসভার বিজেপির কনভেনার রাজকুমার মিত্র বলেন, প্রধান এবং উপপ্রধান এর মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। টোকেন ছাড়া পঞ্চায়েতে কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছেনা। আর আবার সেই টোকেন বিজেপির কেউ পাচ্ছে না।
পার্টি অফিস উচ্ছেদ করতে রেল পুলিশকে বাধা তৃণমূলের
এই বিষয়ে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস জানিয়েছেন অথরাইজ ছাড়া কেউ স্বাক্ষর করতে পারে না। প্রধানকে অবশ্যই জানতে হবে। তার সিগনেচার ছাড়া কেমন ভাবে ভ্যাকসিন হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ভ্যাকসিনের টোকেন এর ক্ষেত্রে আমার স্বাক্ষর জাল করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি নিজেই। এভাবে চললে আগামীতে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।