সোমনাথ দাস : বিজেপি নেতা অরুণ সরকারের স্মরণ সভায় পুলিশের বিরুধেই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে জয়প্রকাশ, বৈঠকের ভিতরে-বাইরে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলীয়কর্মীরা
বৃহস্পতিবার নহাটা বাজারে প্রয়াত বিজেপি নেতা অরুণ সরকারের স্মরণ সভায় উপস্থিত হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নে শান্তনু ঠাকুর বলেন, "কোন ভাবেই কিছু করা হচ্ছে না। এখানকার লোকাল এসপিকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন ইনভেস্টিগেশন নেই। অথচ যে লোকটা আজ মার খেয়েছে, সে নিজে থানায় গিয়ে ডাইয়েরি করেছিল। কিন্তু অকৃতজ্ঞ পুলিশ তার মৃত্যুর পরেও কোন ব্যবস্থা নেইনি। পুলিশ এখানে সম্পূর্ণ দলদাস হিসাবে কাজ করছে। আমরা দলগত ভাবে এর বৃহত্তর প্রতিবাদ করব।" এদিনের স্মরণ সভায় তার সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। হরিণঘাটা কেন্দ্রে বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার সহ বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নেতারা।
নারীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করা হবে প্রবীণ শিক্ষকদের, ঘোষণা তালিবান সরকারের
এদিনের স্মরণ সভা মঞ্চ থেকে শান্তুনু ঠাকুর অরুণ বাবু খুনের ঘটনায় বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত করছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, জেলার এসপিকে জানানো হলেও কোনরকম ইনভেস্টিগেশন হচ্ছে না। যে লোকটা মার খেয়েছিল সে মৃত্যুর আগে থানায় ডায়েরি করেছিল। অথচ দুষ্কৃতীদের আড়াল করছে পুলিশ। দলদাস হয়ে কাজ করছে লোকাল পুলিশ। আমরা এর প্রতিবাদ করব ।বৃহত্তর আন্দোলন করবো।
ভিডিও গেম এর উপর নির্দেশিকা জারি করলো সরকার
গত ৩১ আগস্ট চৌবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েতে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার ভোটাভুটি ছিল। সেই ভোটাভুটি শেষ হওয়ার পর অরুণ বাবু তার নহাটার বাড়িতে ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেসময় তৃণমূলের কয়েক জন দুষ্কৃতী তখন তাকে কাঠ দিয়ে মারধোর করে। এরপর তাকে পাল্লা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় বিজেপি কর্মীরা। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাড়া পেলেও শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন অরুণ বাবু।
বিজেপি-সিপিএম সংঘর্ষ! ভোট ঘিরে অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা
এরপর অসুস্থতার কারনে পুনরায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়। তবে তার মৃত্যু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারধরের ফলেই হয়েছে বলে দাবি করছে বিজেপি। উল্লেখ্য, অরুণ বাবু দিঘাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা বিরোধী দলনেতা ছিলেন। তিনি গোপালনগর থানার কাকডাঙ্গার বাসিন্দা।