রিয়া গিরি : মন্দিরে পূজা-অর্চনার কথাতো সবাই শুনেছে কিন্ত পাপ ক্ষয় হলে যে সার্টিফিকেট মিলবে সে কথা অনেকের কাছেই একটু অবিশ্বাস্যকর। হিন্দু মতে মনে পাপ দেখা দিলে ভগবানের কাছে সবাই প্রার্থনা করে এবং পূজা-অর্চনা করে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে সেই পাপ ক্ষয় করলে মিলবে পাপমুক্তির সার্টিফিকেট তা কিন্তু নতুন। ভারতবর্ষের গৌতমেস্বর মহাদেব মন্দিরে ঠিক এমনটাই হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
চরম খাদ্যসংকটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের তৃণভোজীরা
বাঁশ ওয়ারা থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে প্রতাপগড় জেলার অর্ণত তহসিলের গৌতমেস্বর মহাদেব মন্দির ভগড়ের হরিদ্দার নামে পরিচিত। যেখানে নিজের পাপ ক্ষয় এর সার্টিফিকেট মেলে। মন্দিরে রয়েছেন ভগবান শিব । ঝরনার চাদরের মধ্যে বিরাজ করেছেন মহাদেব। যে মন্দিরে রয়েছে একটি কুন্ডু। যার নাম মন্দাকিনী কুন্ডু। মান্যতা অনুযায়ী এই কুন্ডতে স্নান করলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায় আর তাতেই মন্দিরের ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ পাপমুক্তির শংসাপত্র ও দেয়।
কুমিরকে আদর করতে গিয়ে কোনমতেই প্রাণপণে রক্ষা পেলেন এক মহিলা
কথিত আছে সপ্তঋষির একজন গৌতম ঋষির ওপর একবার গরু হত্যার কলঙ্ক লেগেছিল।তখন গৌতম ঋষি ওই কুন্ডের স্নান করে নিজের সমস্ত পাপ মুছে ফেলে ছিলেন তখন থেকেই স্থানীয় মানুষরা বিশ্বাস করেন যে ওই কুন্ডের স্নান করলেই সমস্ত পাপ মুছে যাবে। যেকোনো জল কখনোই শুকিয়ে যায়না। এই মন্দিরে নিজের পাপ ক্ষয়ের জন্য অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ পূজা-অর্চনা করতে আসেন। কুণ্ডের জল গঙ্গার জলের সাথে তুলনা করেন তারা।
চরম খাদ্যসংকটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের তৃণভোজীরা
এই ধর্মীয় স্থান আদিবাসীদের তৈরি একটি পুরনো আদালত। যেখানে মুদ্রিত পাপমুক্তি সার্টিফিকেট জারি করা হয়। ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন আসেন দর্শনের লক্ষ্যে।ভক্তরা মূলত বৈশাখ মাসে আসেন এবং নির্মিত ডুব দিয়ে নিজেদের পাপ ধুয়ে ফেলেন। আর তাতেই নিজেদের শুদ্ধ বলে মনে করেন দর্শনার্থীরা।