জোড়াবাগান পুলিশ ট্রাফিক গার্ডে রাতবিরাতে 'ভূতের হানা'! তদন্তে ভূত-গোয়েন্দারা

 

Jorabagan-police-traffic-guard-ghost-attack-at-night-Ghost-detectives-in-the-investigation

ঈশিতা সাহা: পুলিশের ডেরায় ভূতের উপদ্রব; নাকি ভুতের ডেরায় পুলিশের! বোঝা মুশকিল,তবে সাধারণ মানুষ নয়, শুধুমাত্র ট্রাফিক পুলিশেরই  ভুতের জ্বালায় নাকে দম।

উত্তর কলকাতা সনাতনী ঐতিহ্য বহনকারী জোড়াবাগানে ১০২ শোভাবাজার স্ট্রিট ট্রাফিক গার্ড। নকশাল আমলে অর্থাৎ ১৯৭১-৭২ সালে এই বাড়ির হাকদার ভাগ্যকুলের রায়বাড়ি মালিক বাড়ি ছাড়ার সময় লালবাজার পুলিশ কর্তাদের ভাড়া দিয়ে গেছেন। যদি এতদিনে ভুতের কোনো নাম গন্ধ পাওয়া যায়নি। তবে দু -তিন দিন হল শুরু হয়েছে ভূতের উপদ্রব! জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ড কর্তব্যরত এক পুলিশ অধিকর্তা বলেছেন, "এক রাতই আমি জোড়াবাগান গার্ডের ব্যারাকে থেকে ছিলাম! মাঝরাতে হঠাৎ সপাটে চড় খেয়ে ঘুম ভাঙলো! অথচ আশেপাশে কেউ নেই! ঘাড় মটকায়নি যে এই রক্ষে! ঘটনার পর সেইখানে থাকতে নারাজ ওই পুলিশ কর্তা। এরপর অন্য এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, চর না খেলেও ভুতের উপস্থিতি বেশ ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন তিনি। সারারাত খুঁচকাচ আওয়াজ শুনে কোনমতে রাত গুজরান করে ভোরের অপেক্ষায় জেগে থেকেছেন। ঘটনাটির ফলে কেউ আর নাইট ডিউটিতে থাকতে চাইছেন না ফলে নড়েচড়ে বসতে  হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে।

অবশেষে মামলার রহস্য ভেদে খাস লালবাজারের শীর্ষ কর্তারা 'ডিটেকটিভ সব সুপারন্যাচারাল' অর্থাৎ ভূত গোয়েন্দাদের সাহায্য নেন। শোভাবাজার স্ট্রিটে গিয়ে তারাই বিষয়টি সম্পূর্ণ খতিয়ে দেখছেন। তবে এখনোও কোন যৌক্তিক উত্তর পাওয়া যায়নি।

Post a Comment

Previous Post Next Post